Home রাজনীতি ১০ডিসেম্বর বিএনপিকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে :মির্জা আজম

১০ডিসেম্বর বিএনপিকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে :মির্জা আজম

32

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জাময়াতকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে কঠোর হুসিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ির ওয়াপদা কলোনি খেলার মাঠে ‘যাত্রাবাড়ী থানা এবং ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬২, ৬৩, ৬৫ নং ওয়ার্ড‘ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া,আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো: আবদুস সবুর ও সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমূখ।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আজম বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরকে টাগের্ট করে কারা যেন সমাবেশ ডেকেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। এদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্রকারিদের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নির্দেশে সমাবেশ ডাকতে হয় না। প্রতিটি ইউনিট-ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগ নিজ উদ্যোগে যখন ইচ্ছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তখনই সমাবেশ ডাকতে পারে,মিটিং করতে পারে। তিনি বলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের ২৪টি থানা প্রতি মাসে অন্তত একটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকে যখন ইচ্ছে ষড়যন্ত্রকারিদের প্রতিরোধে সমাবেশ করতে পারে। আগামী ১০ ডিসেম্বর একসঙ্গে ২৪টি থানার নেতাকর্মীরা মাঠে নামলে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রকারিরা পালিয়ে পাকিস্তান চলে যেতে বাধ্য হবে।
শেখ হাসিনার সততা-সাহসিকতা-দেশপ্রেম বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল দেশ,উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, মুক্তিযোদ্ধাদের মাস। এই ডিসেম্বর মাসেই মির্জা ফখরুলের প্রিয় পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী বাঙালীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল আর এই ডিসেম্বর মাসেই পাকিস্তানের মির্জা ফখরুল আর বিএনপিরা এই বাংলাদেশে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে চলে যাবে। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা বলছেন জিয়া-খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তারা আন্দোলন করছে। জিয়ার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো, তালেবান রাষ্ট্র বানানো এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজ, গোলাম আজম, মুজাহিদদের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়া।
মির্জা আজম বলেন, খুনি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে রক্তপাতের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, ঠিক তেমনি ২১ আগস্টে হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও ওই সময়ের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জড়িত ছিলেন। এই জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাংলাদেশের মানুষ একটি খুনি পরিবার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এরা একটা খুনি পরিবার। মির্জা আজম বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে ৫ বছরে ১৩ শ’ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের অন্যায়ভাবে বিনা দোষে হত্যা করেছেন এবং তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করে রাজাকার, আল-বদরদের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শাহ আজিজুর রহমানের মতো রাজাকারকে তিনি প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করায় তার জেল হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আসলে একটা চুন্নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তিনি নিজ বাসায় থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১সালের মধ্যে আমেরিকা-ইউরোপের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে রুপান্তর হবে বাংলাদেশ।
যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি‘র সভাপতিত্বে ও মূখপাত্র (৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) আবুল কালাম অনু’র সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ.এম শরিফুল ইসলাম শরিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশিক আহমেদ জসিম ও মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্রনেতা এনামুল ইসলাম এনামসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, স্থানীয় কাউন্সিলর বৃন্দ।