Home জাতীয় হকার ও নগরীর সংকট প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের বিবৃতি

হকার ও নগরীর সংকট প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের বিবৃতি

18

ডেস্ক রিপোর্ট:সড়ক ও ফুটপাথকে কেন্দ্র করে হকার ও নগরীর সংকট নিরসনে প্রকৃত হকারদের সাথে আলোচনা এবং ন্যায্য, টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী আজ ৩০ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে অবিলম্বে প্রকৃত হকারদের সাথে আলোচনায় বসা এবং সকল প্রকার জুলুম-হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হাকারি করে জীবিকা নির্বাহ করা একটি প্রচলিত পেশা। নগরজনপদের বিকাশের সাথে সাথে এই পেশার ব্যাপ্তি এবং পরিসর আজকের রুপ লাভ করেছে। একই সাথে দীর্ঘ সময় ধরে এই দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের রুটি-রুজির অর্থনৈতিক কাজের সাথে নানান কায়েমি স্বার্থ জড়িত হয়েছে। নগর উন্নয়নে হাজার হাজার প্রকল্প এবং বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও কখনই বিপুল হকার জনগোষ্ঠীর জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন, টেকসই প্রকল্প গৃহীত হয়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা হকারদের নানান ভাবে ব্যবহার করেন তারাও সবসময় হকার কেন্দ্রিক সংকটের স্থায়ী সুরাহার বিপক্ষে ভূমিকা পালন করেন। তারা দিনে বুলডোজার এর সাথে আসেন, রাতে এসে পয়সার জন্য হাত পাতেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হকারদের কেবলই একটি নাগরিক উপদ্রব হিসেবে বিবেচনা না করে অর্থনীতিতে এই শ্রমজীবী বিপুল জনতার অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ। বলপ্রয়োগ, জুলুম নির্যাতন করে হকারদের জীবিকার সংকট কিংবা নগরীর সুব্যবস্থাপনার সংকট নিরসন করা যাবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন একটি দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন হিসেবে অবিলম্বে প্রকৃত হকারদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হকারদের সুষ্ঠু তালিকা প্রণয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন, অতীতের সকল হকার পুনর্বাসন প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের কতজন প্রকৃত হকার তা তদন্ত করে এই খাতে বিগত সময়ের সকল প্রকল্পের আর্থিক ব্যয়ের প্রতিবেদন শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ এবং জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানাচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে সরকার হকারদের দাবি সমূহ মেনে নেবে বলে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন।