Home রাজনীতি স্বদেশ প্রত্যাবতন দিবস পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আ‘লীগ

স্বদেশ প্রত্যাবতন দিবস পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আ‘লীগ

78

নাজির আহমেদ সজল: আগামী ১৭ মে রাজধানীসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে আলোকসজ্জা এবং শেখ হাসিনা সরকারের টানা তিনবারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। একইসাথে প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে কর্মিসভা ও বর্ধিত সভা করেছেন দায়িত্বশীলরা। দিবসটিতে স্বরনীয় করতে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা থানা-ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সভা থেকে আহবান জানানো হয়। এছাড়াও দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা-দীর্ঘায়ু কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এককথা বলতে গেলে দিবসটিকে ঐতিহাসিকভাবে রুপ দিতে দেশজুড়ে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশকের বেশি সময় উপলক্ষে দলীয়প্রধান এবং দলের জনপ্রিয়তার জাপনান দিতে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, পোস্টার, লিফলেট, বিল বোর্ড, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশের মাধ্যমে শেখ হাসিনার অবদান ও অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে। সারা দেশেই দলের পক্ষ থেকে এ ধরণের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, দলের অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতীম সকল সংগঠন ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার মাধ্যমেও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে ঘিরে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি হিসেবে দেশজুড়ে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড এবং পাড়া-মহল্লার নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এছাড়াও রাজধানীর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য এই সব জেলার দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মোখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন দলটি। এছাড়াও ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্মরণকালের সেরা আয়োজনের মধ্যদিয়ে অতীতের সকল রেকর্ড ভাঙার আশা প্রকাশ করেন দলটির নেতারা।
এদিকে ১৭ মে শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গোটা রাজধানীকে সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে। ডেমরা-যাত্রবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, মহাখালী, নাবিস্কো, সাতরাস্তা, মগবাজার, কাকরাইল, রাস্তার দুই পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার জেষ্ঠ্যকণ্যা শেখ হাসিনার ছবি সম্মিলিত ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী জানান, প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড এবং সড়কের দুইপাশে আলোকসজ্জায়, তোরণ ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত থাকবে। একই আদলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ ভবন বর্ণিল সাজে সজ্জিত থাকবে। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে এবং আওয়ামী লীগের হাল না ধরলে আজকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মর্ডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত হতো না। তার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম, বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে টানা তিনবার আজকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীণ সরকার ক্ষমতায় আছে। দল এবং রাষ্ট্র্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার অনেক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও অর্জন রয়েছে। স্বাধানীতার স্বপক্ষের শক্তিকেও তিনি ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে কথা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন এর সাথে। তিনি জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী’র ফোন পেয়েছি। তিনি আমাকে নির্দেশনামূলক কথা বার্তা বলেছেন। আমিও সেই নির্দেশনা মেনে জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা এবং মন্দির- গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া-প্রার্থনার আয়োজনের ব্যাবস্থা করেছি। একইদিন ছিন্নমূল এতিম-অসহায়দের মাঝে খাবারের আয়োজনও করবো। অপরদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের নির্দেশনা পাওয়ার পরের দিন আলোচনা ও মতবিনিময় সভা করেছে যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন হারুনর রশীদ মুন্না এবং পরিচালনা করেন কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু। উপস্থিত ছিলেন ৬২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ, ৪৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন গেসু, ৪৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী শামীম, ধনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল করিম জয় সহ নেতৃবৃন্দ। সভায় উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিট-ওয়ার্ড কার্যালয়কে সুসজ্জিত করার নির্দেশনা দেন হারুনর রশীদ মুন্না। একইভাবে আগামী ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বরনীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু। ইতিমধ্যে থানার নেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনার ছবি সম্মিলিত ব্যানার ও ফেস্টুনে ছয়লাভ গুলিস্তান-কাপ্তানবাজার,২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থসহ আশপাশের এলাকা। এসব পোস্টার-তোরণ ও ফেস্টুনে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন, ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ৩৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামলসহ থানা-ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দে ছবি রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পালনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছেন বলে জানিয়েছেন ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল আওয়াল।