ডেস্ক রিপাের্ট: প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ শিগগিরই খুলে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এসময় তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা আজ সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে ভোরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসিবুর রহমান স্বপন তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনার টিকার কোনো সমস্যা নেই। আমরা যেখান থেকেই পারি কিনে আনছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে যারা কাজ করে যাচ্ছে শুধু তাদের না, তাদের বাড়ির কাজের লোকজন, তাদের পরিবারের ড্রাইভারসহ অন্য সবাই যেন টিকা পায়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি। যাতে কোন ভাবেই আর সংক্রমণ হতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লুউএইচও)-র নির্দেশনা মেনে স্কুলের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যার জন্য কিছু ফাইজারের টিকা এরইমধ্যে দেশে এসে পৌঁছাচ্ছে। আরো পৌঁছাবে এবং মর্ডানার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়া, অন্যান্য টিকাও আসছে। ইতোমধ্যে টাকাও পাঠানো হয়েছে, প্রায় ৬ কোটি টিকার টাকা আমরা দিয়ে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে এগুলো আসতে থাকবে।
তিনি বলেন, এগুলো রাখা, ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা আমাদের নিতে হচ্ছে। সেগুলো আমরা করে যাচ্ছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে টিকা দেওয়ার পরেও অনেকের করোনা হয়। যদিও সেটা সেরকম মারাত্মক হয় না। সেজন্যই সবাইকে সাবধানে থাকার অনুরোধ করেন তিনি। বিশেষ করে যাদের শ^াস কষ্ট বা হার্টের অসুখ বা ব্রংকাইটিস বা কিডনীর সমস্যা রয়েছে তাদেরকে বেশি সাবধানে থাকার অনুরোধ করেন। কেননা, এদের কারো করোনা হয়ে ভাল হয়ে গেলেও পরবর্তীতে জীবন শংকা দেখা দিতে পারে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, শামসুল হক টুকু এবং আব্দুল আজিজ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এবং সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ ও আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনা পর্ব শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।