Home জাতীয় নবীগরের বিদ্যাকুট ইউনিয়ন নৌকার বিরোধিতা ও অনিয়মের খেসারত দিচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান

নবীগরের বিদ্যাকুট ইউনিয়ন নৌকার বিরোধিতা ও অনিয়মের খেসারত দিচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান

28

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে পিছিয়ে গেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের তালিকায় তার নাম দেওয়া হয়েছে দুই নম্বরে।
নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, মূলত নিজে নৌকা নিয়ে পাস করেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করা, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ নানান ধরণের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় মনোনয়ন দৌঁড় থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক মামলাও নির্বাচনের আগে আলোচনায় চলে এসেছে।
এনামুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন এনামুল হক। ওই নির্বাচনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলেও প্রশাসনের তৎপরতায় নিরপেক্ষ ভোটে তার ভরাডুবি হয়। তবে সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন।
পরে তিনি আলোচনায় আসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করে। এ নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। যে কারণে এবারের ভোটে যেন তিনি কোনোভাবেই নৌকা প্রতীক না পান সে বিষয়ে একট্টা হয় তৃণমূল। এরই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বাছাই তালিকায় তার নাম দুই নম্বরে যায়।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় তিনি নিজের হাতে নৌকার পোস্টার ছিড়ে ফেলেন। বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম পাড়ার আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট না দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম এলাকায় মুখে মুখে। ওই নিজ পছন্দের মানুষকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশির ভাগ ঘর বরাদ্দ পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একাধিক বাড়ি, গাড়ি, রেস্টুরেন্ট এর মালিক হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিদ্যাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছি। এটা সত্য, তবে কোন দুর্নীতি করিনি।