Home জাতীয় সোনা বিক্রি

সোনা বিক্রি

22

শাহ কামাল লাঞ্চু হকঃ সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ কেজি অর্থাৎ ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথারীতি শুরু হয়েছে সমালোচনা। আওয়ামী লীগ সরকার কিছু করলেই এক শ্রেণীর লোক বুঝে না বুঝে সমালোচনা করে। এ ঘটনায়ও তার ব্যতিক্রম হয় নি। যারা সমালোচনা করছেন এদের অনেকেরই বাংলাদেশ ব্যাংকের সোনা বিক্রি সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। আর কিছু লোক আছে তারা জেনেও জ্ঞানপাপীর মত সমালোচনা করছেন। একজন দেখলাম লিখেছেন – এবার সোনায় হাত দিয়েছে। তিনি মানুষ অভাবে পড়ে যেমন বউয়ের গহনা বিক্রি করে তার সাথে বিষয়টার তুলনা করেছেন।
আসুন এবার জানি সোনা বিক্রির আসল ঘটনা। আমরা সকলেই জানি দেশের বিমান বন্দরে প্রায়ই চোরাচালান করে আনা বা অবৈধভাবে আনা সোনা ধরা পড়ে। সে সব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা হয়। এটাকে বলা হয় অস্থায়ী জমা। কারণ সোনা ধরা পড়লে প্রতিটা ঘটনায় মামলা হয়। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমাকৃত সোনা অস্থায়ী জমা হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে এমন অস্থায়ী জমা সোনার পরিমাণ ২৯০০+ কেজি। এই সোনা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি হতে সাধারণত ১০/১২ বছর সময় লেগে যায়। তবে সুখের বিষয় এসব মামলায় ৯৯% ক্ষেত্রে সরকার জিতে যায়। মামলা নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত সেই সোনা কে স্থায়ী জমা বলা হয়। বর্তমানে স্থায়ীভাবে জমাকৃত সোনার পরিমাণ ১৫৯ কেজি। এই ১৫৯ কেজি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ কেজি সোনা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এখন প্রশ্ন সোনা বিক্রি কি বর্তমান সরকারের আমলে প্রথম হচ্ছে? উত্তর হচ্ছে, না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সোনা বিক্রি একটা রুটিন ঘটনা। এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক সোনা বিক্রি করেছে। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে ৪ লটে ৯১ কেজি সোনা বিক্রি করেছে। সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে জেনে বুঝে সমালোচনা করুন।