Home সারাদেশ সুনামগঞ্জে ৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ দুই চোরাকারবারি আটক

সুনামগঞ্জে ৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ দুই চোরাকারবারি আটক

43

রাজু ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় চোরাই পথে নিয়ে আসা ভারতীয় চিনি বুঝাইকৃত হ্যান্ডট্রলি সহ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী(৫৪) ও সুলতান মিয়া (৫৩) নামে দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

মোহাম্মদ আলী ধর্মপাশা উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক ও সেলবরস ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের মৃত সাদত আলীর ছেলে। সুলতান মিয়া পাইকুরাটি ইউনিয়নের হাওর রাজাপুর গ্রামের মৃত ছোবহান তালুকদারের ছেলে।

ধর্মপাশা থানার বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গত রাত ১২ টার সময় ভারতীয় চিনি বোঝাইকৃত হ্যান্ডট্রলি সহ ধর্মপাশা সোনালি ব্যাংকের সামনের রাস্তায় এ দুই চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চোরাই পথে নিয়ে আসা ভারতীয় চিনি বাদশাগঞ্জ বাজার হতে একটি হ্যান্ডট্রলি বুঝাই করে ধর্মপাশা বাজার অভিমুখে নিয়ে আসছে এমন খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলী ফরিদ এর নেতৃত্বে এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে ধর্মপাশা সোনালি ব্যাংকের সামনের রাস্তায় চিনি বুঝাইকৃত হ্যান্ডট্রলিসহ ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী ও সুলতান মিয়া নামে দুই চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।এ সময় ৩০ টি বস্তায় থাকা ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের ১৩২৫ কেজি ভারতীয় চিনি ও বহনকারী হ্যান্ডট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকা ও সময়ের আলো পত্রিকার ধর্মপাশা -মধ্যনগর প্রতিনিধি মিঠু মিয়া ও আটক হওয়া চোরাকারবারি মোহাম্মদ আলী একে অপরের আপন খালাতো ভাই।
মিঠু মিয়া সাংবাদিকতার অন্তরালে চোরাকারবারের সাথে
অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত রয়েছে বলেও নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। সাংবাদিকতার সুবাধে সীমান্তের চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চিনি সহ মাদকদ্রব্য ক্রয়ে মধ্যস্থতা করে দীর্ঘদিন ধরে দালালি করে অবৈধ উপায়ে কালো টাকা রোজগার করে আসছে বলেও জানা গেছে।

যায়যায়দিন পত্রিকার ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি মিঠু মিয়া বলেন, আমি এই চিনির অবৈধ ব্যবস্যার চোরাকারবারির সাথে জরিত নই, আমার বিরুদ্ধে এসব কথা মিথ্যা বানোয়াট।

ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলী ফরিদ আহমেদ জানান, আসামীদ্বয় ভারতীয় চিনি চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনয়ন করিয়া বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখায় তাহাদের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।