Home সারাদেশ সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি প্রতীকী লাশের মিছিল টেকনাফ টু তেতুলিয়া

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি প্রতীকী লাশের মিছিল টেকনাফ টু তেতুলিয়া

24

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ ২০১০ লাশ থেকে এ পর্যন্ত ভারত সীমান্ত এলাকায় ১২৭৬ বাংলাদেশি সীমান্ত হত্যা কান্ডের শিকার হয়েছেন। আহত ১১৮৩ জন। গত চারমাসে এ হত্যার সংখ্যা ২১ জন। অভিযোগের তীর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র দিকে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের আভ্যন্তরীন ‘যুদ্ধের’ মটার সেল বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিকে সীমান্তেÍ ‘লাশের মিছিল’ বলে আখ্যায়িত করা হলো। অভিযোগ করা হলো, গুলি কওে পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। দাবি জানানো হয়েছে, এ আগ্রাসন বন্ধের। এমন হত্যাকান্ড বন্ধে কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়েছে।
এই হত্যাকান্ড বন্ধে প্রতীকী ‘লাশের মিছিল’ নিয়ে ব্যতিক্রম প্রচারণা চালানো শুরু হয়েছে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত দেশের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় এ প্রচারণা চালানো হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। শেষ করা হবে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে।
সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাতো সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আসেন পাঁচ নাগরিক। মূলত ওই পাঁচ নাগরিকই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে হত্যা বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবেন। তারা প্রতীকী লাশ নিয়ে মানব বন্ধন কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছেন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে আখাউড়া পৌর এলাকার সড়ক বাজাওে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে নোয়াখালীর মাইজদীর মো. ঘানিফ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কর্মসূচি পালিত হয়। তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নুরুল আজিম, রংপুরের পীরগাছার মো. আবু হোসেন নীরব, ঝালকাঠির সৌরভ হোসেন বেলাল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আরিফ। কর্মসূচিতে স্থানীয় সাধারন মানুষ ও যোগ দেয়। উপজেলা পরিষদের সামনে কর্মসূচির শুরু করা হয়।
মো. হানিফ জানান, গরু চোর কিংবা গরু চোর কারবারি বলে সীমান্তে এভাবে মানুষ হত্যা করা ঠিকানায়। এ হত্যা বন্ধের দাবিতে ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই সারাদেশের সীমান্ত এলাকায় প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল করা হচ্ছে। আমরা সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থার সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি হত্যাবন্ধে দু’দেশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছি। আমরা এমন মৃত্যু আর দেখতে চাইনা।