Home রাজনীতি সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ জরুরী–ডাঃ ইরান

সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ জরুরী–ডাঃ ইরান

34

স্টাফ রিপোটার: সম্প্রতি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ৪ জন নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ভারত আর্ন্তজাতিক সীমান্ত আইন লংঘন করে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারনেই সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটছে। তাই সীমান্ত হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে ডাঃ ইরান বলেন, সীমান্তে চোরা-চালান বন্ধ করার জন্য গুলি করে মানুষ হত্যা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মানবতা বিরোধী হত্যাকান্ড। কেননা বিএসএফের সহযোগীতা ছাড়া চোরা-চালান সম্ভব নয়। বিএসএফ চোরা-চালানের সাথে জড়িত। বর্তমান ভারতের গোলাম সরকার সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যার প্রতিবাদের সক্ষমতাটুকুও হারিয়েছে। ভারত আর্ন্তজাতিক সকল রীতিনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সীমান্তে পাখির মতো বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা অব্যাহত রেখেছে। তাই অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত হত্যার দায়ে আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আজ ৩০ নভেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, মুসলীম লীগের মহাসচিব এডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারন সম্পাদক কমরেড ডাঃ নুরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী তাতীদলের উপেদষ্টা ড. মনিরুজ্জামান মনির, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোসলেম উদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব হুমাউন কবীর, এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হীরা, লেবার পার্টির আর্ন্তজাতিক সম্পাদক খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য খোরশেদ আলম, ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত, যুবমিশন সদস্য সচিব শওকত চৌধুরী ও ছাত্রফোরাম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।