খাবার সংকট, সরকারি বরাদ্দ নেই
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট মহানগরীতে বানরের বসবাস অনেক আগে থেকেই। তবে তা এক সময় হজরত চাষণী পীর (র.) মাজার এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। উৎপাতও তেমন ছিল না। গত কয়েক বছরে নগরীজুড়ে বিচরণ বেড়েছে, উপদ্রবও করছে। অতিষ্ঠ মানুষ বনবিভাগের সাহায্য চেয়েছেন, তাতে কোনো অগ্রগতি নেই এখনো।
হজরত চাষণী পীর (র.) মাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী উত্তর কাজীটুলার শাহেদা রহমান জানালেন, এবারের সেপ্টেম্বর মাসে দুবার তার বাসার সিসি ক্যামেরা মেরামত করাতে হয়েছে। কারণ বানরের বাঁদরামি। দল বেঁধে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরার লাইনসহ নষ্ট করে দেয়। এছাড়া ঘরে কোন কিছু রাখা যায় না- সব তছনছ করে দেয়। কেউ কেউ বারান্দা বা ব্যালকনিতে তারজালি লাগিয়েছেন, কিন্তু সবার পক্ষে তো সেটা সম্ভব নয়। বানরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর সিলেট বন বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
নগরীর বিশিষ্ট চিকিৎসক গোলাম রব সোয়েব জানান, কয়েকদিন আগে তার দুই ছেলেকে বানর কামড়ে দেয়।
কলেজ ছাত্রী আয়শা আক্তার জানান, তাদের বাসায় প্রায় প্রতিদিনই বানরের দল হানা দেয়। আগে জিনিসপত্র নষ্ট করতো, এখন কামড় দেয়। এ কারণে ছোট বড় সবাইকে আতঙ্কে থাকতে হয়।
সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ জানান, বানরের উৎপাত বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাদের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, গাছপালা কমে যাওয়ায় এবং বন্যার কারণে বানররা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হলেও তাদের কিছু করণীয় নেই। এত বানর বাগে আনা অসম্ভব। আর বানরদের জন্য সরকারের কোন বরাদ্দও নেই।
আমাদের সময়.কম