Home জাতীয় সাথে আছি, পাশে চাই

সাথে আছি, পাশে চাই

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচন-২০২২

102

স্টাপ রিপোর্টারঃ ‘সাথে আছি, পাশে চাই’-এই শ্লোগানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা এবং মফস্বল থেকে রাজধানী-দীর্ঘ সময় সংবাদকর্মীদের লড়াইয়ের সাথী রফিকুল ইসলাম সুজন। আগামী ২৯ মার্চ সারাদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাব এডিটর কাউন্সিল, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, ঢাকাস্থ জেলা সাংবাদিক ফোরামসমূহ ও প্রিন্ট, ইলেট্রনিক, অনলাইন পোর্টাল, অনলাইন  টেলিভিশন হাউজগুলোতে জোর কদমে প্রচারণা শুরু চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি সহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে তার নির্বাচনী বিলবোর্ড।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগবার্তাকে বলেন,“ আমার জীবনের সিংহভাগ সময় অতিবাহিত করেছি মানুষের জন্য ,মানুষের সংগ্রামে। এখনো লড়ছি সমাজ সচেতনতার লড়াইয়ে। সংবাদপত্র ও সাংবাদিক সংগঠনের সাথে আমি বহু আগে থেকেই জড়িত। দেশের সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আগেও লড়েছি, এখনো লড়ছি। ” আগামীতে সংবাদকর্মী ও ইউনিয়ন নিয়ে আপনার ভাবনা কী-এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন,“আমি বিজয়ী হলেও সংবাদকর্মীদের লড়াইয়ের পাশে আছি, পরাজিত হলেও পাশে থাকব। লড়াইয়ের মানুষ, কখনোই লড়াই ছাড়ব না। আগামীতে ইউনিয়নকে শক্তিশালী করে সদস্যদের নানা আপদ-বিপদে কিভাবে সাহায্য করা যায়, তাদের জন্য বীমা ব্যবস্থা, অবসর সময়ে ভাতার ব্যবস্থা সহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।”

জানাগেছে ৩২ বছর ধরে সংবাদপত্রের সাথে জড়িত রফিকুল ইসলাম সুজনের জন্ম দক্ষিণজনপদের বরিশাল জেলার উজিপুর উপজেলাধীন বান্না গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবার ঐতিহ্যবাহী এতিহাসিক মিঞা বাড়িতে (দরগাহ বাড়ি)। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর হোসেন মিঞা, মাতা মোসা: নাসিমা বেগম রনু।  তিনি ইতিহাস বিভাগে বি এ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রী অর্জন করেছেন। সংবাদপত্র হাতেখড়ি ১৯৯০ সালের উত্তাল গণআন্দোলনের সময়। জাতীয় সাপ্তাহিক নতুন কথা, সময়ের কাগজ, দৈনিক শাহানামা, দৈনিক বাংলার বনে, দৈনিক আজকের বার্তা, ভোরের কাগজ, দৈনিক আল আমীন, অনেস্বা, আজকের কাগজ, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে সরকার অনুমোদিত যুগবার্তা’র হেড অব নিউজ, দৈনিক বাঙলার জাগরণ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ও সাপ্তাহিক সিমেক’র উপদেষ্টা সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদপত্রে কাজের সুবাদে অনেক আগে থেইে তিনি বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত। বরিশালের বানারীপাড়া, উজিরপুর ও বরিশালে সাংবাদিক সংগঠনের গুরত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক ছিলেন। প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বর্তমান পর্যন্ত সংবাদকর্মীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র সদস্য হিসেবে নানা আন্দেলনে সক্রিয় আছেন।

স্কুল জীবনেই প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের জড়িত। উপজেলা, জেলার দায়িত্ব পালন করে ছাত্র মৈত্রী’র কেন্দ্রীয় সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কের দ্বায়িত্বও পালন করেছেন। সংগঠক হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগষ্ট আন্দোলন, শামসুন্নাহার হল আন্দোলনে। এছাড়া জেলা-উপজেলা ও জাতীয় পর্যায় তিন দশক প্রতিটি গণআন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করছেন। বর্তমানে জাতীয় ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন ’জনলোক’-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

তিনি ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালনকালে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, ভারত ( দিল্লী, মোম্বে, কর্ণাটক, কলকাতা), ফিলিপাইন, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ভুটান, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। এশিয়া প্যাসিফিক স্টুডেন্ট এন্ড ইয়ুথ এসোশিয়েশনের সাউথ এশিয়া ও কান্ট্রি কো-অডিনেটরের দ্বায়িত্বও পালন করেছেন।

এবার সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আরো বেশি সক্রীয় থাকতে  ‘সাথে আছি, পাশে চাই-এই আহ্বানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। সকলের সমর্থন ও আন্তরিক সহযোগিতা  ও ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেছেন “আমি কমল যোদ্ধাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আমাকে সেই সুযোগ দিন, পাশে থাকুন।