Home সারাদেশ সাতক্ষীরায় চা দোকানীর মাথা বিহিন লাশ উদ্ধারের ঘটনার প্রধান আসামী আটক :...

সাতক্ষীরায় চা দোকানীর মাথা বিহিন লাশ উদ্ধারের ঘটনার প্রধান আসামী আটক : মাথা উদ্ধার

87

প্রতাপ হোড়,সাতক্ষীরা : পাওনা মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা করা হয় সাতক্ষীরার আলোচিত চা দোকানী ইয়াছিন আলীকে। আটক হওয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী জাকির হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
আটক জাকির হোসেন খুলনা শহরের বাচ্চু শেখের পুত্র। সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা এলাকার বিবাহ করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই বসবাস করে আসছিল।

শনিবার রাতে সদর উপজেলার আলীপুর চাঁপারডাঙ্গা এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। রোববার সকালে জাকির হোসেনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা শহরতলীর কামালনগর এলাকার ব্রীজের নীচের ডোবা থেকে ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার সকালে ইয়াসিন আলীর মাথাবিহীন খ-িত দেহ বকচরা এলাকার একটি ঘের থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার সকালে কামালনগর এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান,উপজেলা পরিষদের সামনের একটি চায়ের দোকানের মালিক ইয়াসিন আলীর সাথে জাকির হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। ব্যবসার কথা বলে ইয়াসিন জাকিরের কাছ থেকে ২০,০০০ টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের সাথে গত সপ্তাহে ইয়াসিনের তুমুল ঝগড়া হয়। প্রতিশোধ নিতে ফন্দি আটে জাকির। গোলযোগপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে রাজমিস্ত্রির কাজ করার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ইয়াসিনকে বাইপাস সংলগ্ন বকচরা মোড় এলাকায় নিয়ে যেয়ে গল্প করতে থাকে। মধ্যরাতে আশেপাশের কেউ না থাকার সুযোগে ইয়াসিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের একপর্যায়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে দেহ পাশের একটি ঘেরে আর মাথা ১কি.মি. দূরে ব্রীজের নীচের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঘের থেকে বুধবার সকালে ইয়াসিন আলী নামের এক চা বিক্রেতার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন। ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।