Home জাতীয় সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা।। বাড়ি ফিরেছেন জেলেরা

সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা।। বাড়ি ফিরেছেন জেলেরা

34

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। দীর্ঘ সময় সাগর বক্ষে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অনেক জেলে বাড়ি ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ ট্রলার, ইঞ্জিন, জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আলীপুর মহিপুর আড়ৎ ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নোঙর করে রেখে দিয়েছে। রবিবার বিকেলে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একের পর এক মাছ ধরা ট্রলার তীরে এসেছে। এছাড়া সাগরের অগভীর খুটা জেলেরাও মাছ ধরা বন্ধ করে তাদের নৌকা কুয়াকাটার সৈকতে সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রেখেছেন। তবে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অবোরধ সফল করার লক্ষে সব ট্রলারই তীরে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলেসহ সংশ্লিষ্ট মৎস্য বাবসায়িরা।
মৎস্য অফিস সূত্র জানা যায়, অবরোধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহণ, ক্রয়-বক্রয়, বিনিময় এবং মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই বিধিনিষেধ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ১৯৫০ সালের মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বনি¤ś এক বছর এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
ট্রলার মালিক ও জেলেরা বলেন, সরকারের আইন মেনে তারা মাছ শিকার বন্ধ করে ঠিক সময়মত তীরে এসেছেন। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর সাগর বক্ষে ইলিশ খুবই কম পড়েছে। এর ফলে অনেকেই ধার দেনায় জরজরিত হয়েছে পড়েছে।
তীরে ফিরে আসা জেলে আফজাল মাঝি বলেন, মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। মাহাজনের কাছ থেকে বেতন বুঝে নিয়েছি। এক হালি ইলিশ নিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন পর ওই রাতে বাড়িতে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অপর এক জেলে বলেন, সাগরে এবছর তেমন মাছ পায়নি তারা। যা পেয়েছে তাও আবার আকারে ছোট।
ট্রলার মালিক মো. মনির হাওলাদার বলেন, সারারের আইন মেনেই মাছ ধরা বন্ধ রেখে তার ট্রলার ঘাটে বেঁধে রেখেছেন। ট্রলারের শ্রমিকসহ জেলেদের ছুটি দেয়া হয়েছে। তারা সবাই নিজ নিজ বাড়ি চলে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে ২২দিন অবরোধ পালনের লক্ষে সব ট্রলারই ঘাটে আসেছে। বর্তমানে মহিপুর-আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীর আড়ৎ ঘাটে হাজার হাজার ট্রলার অবস্থান করছে।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বর্তমানে নদীতে অভিযান চলছে। অবরোধ সফল করতে সাগর ও নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া এ উপজেলা ১৮ হাজার ৩ শত ৫ জন জেলেকে প্রনদনা হিসাবে ২০ কেজি করে চাল বিতরন করা হবে।