Home সাহিত্য ও বিনোদন সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ অনুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ অনুষ্ঠান

44

ডেস্ক রিপোর্ট: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, জনপ্রিয় ব্যান্ড মেঘদল, বাউল শিল্পী রিতা দেওয়ান, অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ(৪ নভেম্বর) রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন প্রতিবাদ সভা করেছে।

সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন সংগঠক লাভলী হকের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন তুহিন কান্তি দাস, মোঃ হামিম, আদিত্য শুভ, হোসেন শেখ, গণ সাংস্কৃতিক মৈত্রী, ব্যান্ড দল আবোল-তাবোল, , স্বপ্নবাজি, টিনের চাল, সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের সদস্যরা।এছাড়াও সংহতি জানিয়েছেন মেঘদল, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন,সহজিয়া, বাংলা ফাইভ সহ অনান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে। এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদ্রিতা সৃষ্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি কে এম মুক্তাকি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি সংসদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক শাওন বিশ্বাস,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা মহানগর সংসদের সদস্য প্রিজম ফকির সহ প্রমুখ। সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে বক্তারা বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রের ছড়িয়ে দেয়া সীমাহীন হতাশার ভাইরাসে আমরাও আক্রান্ত, যা করোনার চেয়ে বহুগুণ ভয়ঙ্কর! তা হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যা দ্বারা জনমনে এক ভীতি সঞ্চার করছে। একে ভয়ের রাজনীতি বললেও ভুল হবে না। বাংলাদেশে আজ ভয়ের রাজনীতি বিরাজ করেছে। কিন্তু ভয়-ভীতি দিয়ে আর যাই হোক মানুষের মন জয় করা যায় না, লাঞ্ছিত মন একদিন না একদিন বিদ্রোহ করবেই। এই ভয়ের রাজনীতির আপাতত ক্ষতির একটা প্রধান শিকার কিশোর-তরুণ সমাজ। আর সেই তারুণ্য কখনোই যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখবার, তার মনোযোগ যেন কিছুতেই ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ দিকে ধাবিত না হয়, তার সকল আয়োজন গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে রাষ্ট্র। আর যারা এখনো তরুণ্যকে সংগঠিত করবার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য তৈরি হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নতুন নতুন নিপীড়নমূলক আইন। তার জন্য নিয়োজিত আছেন রাষ্ট্রের পোষা বুদ্ধিজীবীগণ। এর আগে আমরা দেখেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মারপ্যাঁচে গ্রেফতার করা হলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরাকে, লেখক মুস্তাক,কার্টুনিস্ট কিশোর,অসংখ্য শিল্পী,সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবীদের। তাই অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে। মেঘদল সহ অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় এদেশের প্রগতিশীল মানুষ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।