Home সারাদেশ সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় বকশীগঞ্জ থানার ওসিকে আসামী করার দাবি

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় বকশীগঞ্জ থানার ওসিকে আসামী করার দাবি

30

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ সোমবার ১৯ জুন বিকেলে জামালপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নাদিম স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের বক্তব্যে শোকসভাটি প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয়।

সভায় বক্তারা,সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার সব আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকেও মামলায় সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ‘রাজাকার পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ১১ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের ইন্ধনে তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করেছিল। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এবং ভিডিওবার্তায় নিরাপত্তাহীনতার কথা বললেও ওসি সোহেল রানা সেসময় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। গত ১৪ জুন ফের তিনি বাবু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলে ঘটনাটি “চোখে সামান্য আঘাত লেগেছে” বলে ওসি মন্তব্য করেন এবং নাদিম নিহত হওয়ার পরও ওসির ভূমিকা রহস্যজনক।’

জামালপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারী বাবু চেয়ারম্যানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তার চাচাতো ভাই সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্না এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের ইন্ধন থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’

শোকসভায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মুনিরা বেগম বলেন, আমি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাই। আমার স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো সাংবাদিককে এভাবে প্রাণ দিতে না হয়।

এ ঘটনায় ওসির ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ দাবি করে তাকেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করায় সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা থেকে ওসিকে প্রত্যাহারসহ তাকেও হত্যা মামলায় আসামি করার দাবি জানান তারা। এসময় রাষ্ট্রকে নিহত সাংবাদিকের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করেন বক্তারা।

শোকসভায় জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জামালপুর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিব, জামালপুর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ কাফি পারভেজ, দৈনিক সচেতন কণ্ঠের সম্পাদক বজলুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি জুলফিকার মো. জাহিদ হাবিব, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু,জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।