নজরুল ইসলাম, তালা, সাতক্ষীরা: গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের তান্ডব, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের হামলা, পুলিশ হত্যা, হাসপাতালে আগুন ও সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা পার্টির কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সাতক্ষীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ রীমু চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা পার্টির সভাপতি কমরেড মহিবুল্লাহ মোড়লের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, পার্টির জেলা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মাস্টার। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সাবীর হোসেন, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড ময়নুল হাসান, কমরেড আবেদুর রহমান, কমরেড স্বপন কুমার শীল, নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ও জেলা পার্টির সদস্য নাসরীন খান লিপি, কমরেড মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, কমরেড নির্মল সরকার, কমরেড হিরন্ময় মন্ডল প্রমুখ। এছাড়া ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন, কৃষক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশনসহ ইউনিয়ন ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার পশ্চিমা মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বি এন পি-জামাতসহ চরম ডানপন্থী দলগুলো এক হয়েছে। দেশও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সমাবেশের নামে ২০১৩-১৪ সালের মত মানুষ হত্যা, বাসে আগুন, হাসপাতালে আগুন এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙ্গচুরের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সংবিধানের উপর আঘাত এনেছে।
বিএনপি-জামায়াতের মিত্র আমেরিকা মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবাদের ধুয়া তুলে অবৈধ ভিসানীতি চাপিয়ে দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করছে। আমেরিকা লিবিয়া, ইরাক কে ধ্বংস করেছে,এবার ইরান ও বাংলাদেশকেও ধ্বংস করতে চায়।
১৯৭১ সালে মার্কিনরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যায় সমর্থন করেছিল। ১৯৭৪ এ দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু কে হত্যায় মদদ দিয়েছিল। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সহ বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সরকার পতনের নামে সন্ত্রাসকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৭১ বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকাকে রুখে দিয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে জামায়াত শিবিরের তান্ডব ও হত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আগামীতেও বিএনপি-জামায়াত ও আমেরিকার সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত এবং আগামী সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
