Home রাজনীতি সরকারের কাউকে কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা নেই : তথ্যমন্ত্রী

সরকারের কাউকে কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা নেই : তথ্যমন্ত্রী

26

স্টাফ রিপোটার: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আইন এখানে নিজস্ব গতিতে চলবে। সরকারের কাউকে কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আইন এবং আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সরকার সেটি পালন করে মাত্র।’
সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিব ও ড. ইউনূসের কারাবরণের আশংকা নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন বাংলাদেশে আইন এবং আদালত স্বাধীন। সে কারণেই সরকারি দলের অনেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা কারাগারেও গেছেন।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা দুইই রেখে বলতে চাই- কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে আইনের উর্ধ্বে হন না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এমন কি তারা কারাগারেও গেছেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে চিল্ড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ষোড়শ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। একাডেমি চত্বরে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনায় মন্ত্রীর সাথে অংশ নেন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এবং সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সেই বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করার ক্ষেত্রে শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখছে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিশুরা অনেক মেধাবী। তাদের সেই মেধাকে যদি বিকশিত করতে পারি তারা দেশ ও সমাজ গঠনে, উন্নত মানবিক জাতি গঠন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনেক বড় ভূমিকা রাখে কারণ এখানে শিশুরা নিজেরাই ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানায়, আজকে উপস্থাপকরাও ছিলো শিশু। ১৬ বছর ধরে ধারাবাহিক এ উৎসব আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন প্রায় সব বয়সের মানুষই স্মার্টফোনে নিবদ্ধ হয়ে গেছে। এর ভালো দিক যেমন আছে অনেক খারাপ দিকও আছে। যে কোনো কিছুতে আসক্তিই খারাপ। সেই আসক্তি থেকে শিশুদেরকে বের করে আনতে হবে।’

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ শ্লোগান নিয়ে তিনদিনব্যাপী এ উৎসবে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন ও অলিয়ঁস ফ্রসেজ গ্যালারিতে ৩৯টি দেশের ১০১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।