Home সারাদেশ সরকারী ছুটির দ্বিতীয় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়

সরকারী ছুটির দ্বিতীয় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়

27

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: সরকারী ছুটির দ্বিতীয় দিনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমিয়েছে হাজার হাজার পর্যটক। শহরের কোলাহল থেকে একটু স্বস্তি পেতে এবং প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটকদের পদচারনায় এখন মুখর হয়ে উঠেছে গঙ্গামতি, ঝাউবাগান ও লেম্বুর বন সহ সকল পর্যটন স্পট। সৈকতে আসা পর্যটকরা সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। কেউবা ছবি তুলছেন, কেউবা আবার মোটরবাইক কিংবা ওয়াটার বাইকে ঘুরছেন। আগতদের ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার আশি শতাংশ হোটেল মোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটির রেশ কাটতে না কাটতেই বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিসহ সরকারী টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই এসকল পর্যটকের আগমন বাড়তে থাকে। আগত পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অবলোকনের পর ছুটছেন রাখাইন পল্লীসহ দর্শনীয় স্থানে।
পর্যটক মেহেদী হাসান বলেন, আগের থেকে কুয়াকাটা সৈকতের পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। সৈকতের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বারবার আসি। পর্যটক জান্নাতআরা বলেন, সমুদ্রের বিশালতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ঢেউ, বালু আর পানি সব মিলিয়ে একটা দারুণ পরিবেশ।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র সেক্রেটারি কে এম জহির বলেন, টানা তিন দিনের ছুটির কারণেই মূলত পর্যটকদের চাপ একটু বেশি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটন স্পটগুলোতে কাজ করছে। এছাড়া সৈকতে সর্তকতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।