Home রাজনীতি সংসদ ভেঙে দিয়ে তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও: বাম জোট

সংসদ ভেঙে দিয়ে তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও: বাম জোট

28

স্টাফ রিপোটার: বর্তমন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, ভোট ডাকাতির সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পুনরায় মূলবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, দুর্নীতি-অপচয় ও টাকা পাচার বন্ধের দাবিতে আজ ৯ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে আজ বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুর সাত্তার, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা বেগম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আজও বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করায় দেশের এই অবস্থা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার উন্নয়নের যে ঢাক পিটাচ্ছে তার নীচে চাপা পড়ছে জনগণের চাপা কান্না। বাক স্বাধীনতা, সভা সমাবেশের স্বাধীনতা নাই। একের পর এক অগণতান্ত্রিক আইনে জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে চালসহ নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরৎ দিচ্ছে না, বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। সরকারের ভুলনীতি-দুর্নীতি-অপচয়ের ফলে দফায় দফায় বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানির দাম বাড়িয়ে বেঁচে থাকাটাই দায় করে ফেলেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার আঘাত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মূল্যস্ফীতি চরম আকার নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি হবে মরার উপর খাড়ার ঘা এর সামিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মূল্য বৃদ্ধি, মূল্য স্ফীতির কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের ভোটাধিকার পযন্ত বর্তমান সরকার কেড়ে নিয়েছে। এ অবস্থার হাত থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্তি পেতে হলে এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নাই। গণতন্ত্র, ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।