Home সাহিত্য ও বিনোদন সংগীত ঐক্যের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক: ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

সংগীত ঐক্যের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক: ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

35

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো সংগীতের প্রথম জাতীয় উৎসব ও সম্মেলন

স্টাফ রিপোটার: সংগীত সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশীয় সংস্কৃতিকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্য নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো সংগীতের প্রথম জাতীয় উৎসব ও সম্মেলন। উৎসবটি আয়োজন করেছে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ। ১৬ জুলাই রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মূল মঞ্চে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এই উৎসব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ-এর মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

এদিন সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। এরপর সংগীত পরিবারে প্রয়াতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগীত ঐক্যের দুই মহাসচিব কুমার বিশ্বজিৎ ও নকীব খান। এরপর বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কে এম খালিদ এমপি এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলি লাকী। উৎসব সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর বক্তব্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজনের প্রথম পর্ব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, ‌‘আমাকে যখন বলা হলো এই আয়োজনের কথা, তখন আমার কাছে মনে হলো এটা বিরল সুযোগ। এটা হাতছাড়া করতে চাইনি। কারণ সংগীতের তিনটি সংগঠন মিলে যে আয়োজন বা ঐক্য করেছে সারা দেশের শিল্পীদের নিয়ে, এটা প্রশংসনীয়।’

তিনি বলেন, ‘শিল্পীরা আমৃত্যু গেয়েই গেছেন, কী পেলেন সেই হিসাব মেলাননি। এবার ভাবার সময় এসেছে শিল্পীদের যোগ্য সম্মান ও সম্মানী ফিরিয়ে দেওয়ার। সকল জটিলতা সমাধানের এখনই সময়। সংগীত ঐক্য প্রণীত ১৮ দফা প্রস্তাবনা আমি দেখেছি। এতে একটি লক্ষ্য রয়েছে। সেটার মধ্য দিয়েই কার্যকর ফল আসতে পারে। এটাই ঐক্যের অনন্য বৈশিষ্ট্য। বাংলার মাঝি থেকে কৃষক, মা থেকে শিক্ষক- সবাই গান ভালোবাসেন। এখন ভিডিও দেখি সিনেমার মতো লাগে। সময়ের সঙ্গে এগুলোকে আমরা আলিঙ্গন করছি। তাই এই সুযোগগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ঐক্যের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। যার অনেকখানি পূরণ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিশেষ করে কপিরাইট আইন সংশোধন, রয়্যালটির ন্যায্যতা ও সম্মানী বৃদ্ধি হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এগুলোর উদ্যোগ নিলে আমরা সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য শতভাগ আন্তরিক থাকবো।’