Home সারাদেশ শোক দিবসের মাসব্যাপি কর্মসূচিতে বরিশাল-২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী ওয়ার্মআপ, নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত

শোক দিবসের মাসব্যাপি কর্মসূচিতে বরিশাল-২ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী ওয়ার্মআপ, নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত

49

রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপি অনুষ্ঠিত দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বরিশালের বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নবরূপে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। বানারীপাড়া উপজেলা, পৌরসভা ও উপজেলার ৮ ইউনিয়ন এবং উজিরপুর উপজেলা, পৌরসভা ও উপজেলার ৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজনে মাসব্যাপি একের পর এক আলোচনা সভা ও দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে নৌকার টিকিট প্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের একঝাঁক হেভিওয়েট নেতা অংশগ্রহণ করেন। শোক দিবসের এসব অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন বরিশাল-১ ও ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম মনি, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা,আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান খান,বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌর মেয়র আ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, শেরে বাংলার দৌহিত্র ও আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিক উপ-কমিটির সদস্য একে ফাইয়াজুল হক রাজু,আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সুখেন্দু শেখর বৈদ্য প্রমূখ। শোক দিবসের দলীয় কর্মসূচিগুলোতে যোগদান করে তাঁরা কৌশলে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী ওয়ার্মআপ সেরে নিয়েছেন।
এছাড়াও উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন,উপজেলা চেয়ারম্যান আ.মজিদ সিকদার বাচ্চু,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম হাফিজুর রহমান ইকবাল,উজিরপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন বেপারী এবং বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শীর্ষনেতাদের উপস্থিতিতে এ দুই উপজেলায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাঁদের অনুসারীসহ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দ দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশজুড়ে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি তাঁরা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের নানা দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে দেশী-বিদেশী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হয়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেল করার জন্য নানা দিক নির্দেশনা দেন। প্রভাবশালী নেতাদের উপস্থিতি ও তাঁদের দিক নির্দেশনামূলক জ্ঞানগর্ব বক্তৃতায় উদ্দীপ্ত হয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের প্রত্যয় জানিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকার ধারবাহিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মত প্রধানমন্ত্রী করার ইস্পাতকঠিন সংকল্প নিয়ে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক বলেন,বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মন্ত্রী পদ মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বান্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহবায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির নেতৃত্বে বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলাসহ গোটা বরিশাল অঞ্চল কালক্রমে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ দুই উপজেলাসহ দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। জাতীয় শোক দিবসের মাসব্যাপি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যা আগামী নির্বাচনে নৌকার ধারবাহিক বিজয়ের জন্য সহায়ক হবে।
এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারী বলেন,বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে শোক দিবসের অনুষ্ঠানগুলোতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে।