Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস শোকাবহ আগস্টের ১ম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি

শোকাবহ আগস্টের ১ম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি

27

বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে আজ ১ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শোকাবহ আগস্টকে স্মরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ¦লনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এর পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে উপাচার্যের নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ¦লন করা হয়। মোমবাতি প্রজ¦লন কর্মসূচি উদ্বোধনের পর ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্টের শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নীলুফার পারভীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভ‚ইয়া, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহিদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, মানবিক ও অসা¤প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু এই জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণের জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু মানবিক, অসা¤প্রদায়িক ও স¤প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তা বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার সফল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
উপাচার্য আরও বলেন, সকল আন্দোলন, সংগ্রাম ও সংকটে সাহস, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করে জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে অনন্য অবদান রেখেছেন মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা নারী জাগরণ ও নারী নেতৃত্বের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত, সমৃদ্ধ ও জ্ঞাননির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে দেশের নারী সমাজ এগিয়ে আসবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগস্টের প্রথম প্রহরে এধরনের আয়োজনের জন্য উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।