Home সাহিত্য ও বিনোদন শুরু হলো গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব

শুরু হলো গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব

18

স্টাফ রিপোটার: “এক সময় আমাদের ছয়শত একুইস্টিক যন্ত্র ছিলো এই দেশে, কালের গর্ভে অনেক যন্ত্র হারিয়ে গেছে। যেগুলো আছে তা আর হারাতে চাই না, সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি যন্ত্রসংগীতের মিউজিয়াম করতে চাই তার মাধ্যমে সকল যন্ত্রের সুর সংরক্ষণ করা হবে”। – জনাব লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব, যন্ত্র সংগীত উৎসব এবং অ্যাক্রোবেটিক উৎসব”। এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ডিসেম্বর মাসব্যাপী চলছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব।

আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সারাদেশে একযোগে উদ্বোধন করা হলো গণজাগরণের যন্ত্রসংগীত উতসব। সারাদেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য একাডেমির সচিব জনাব সালাউদ্দিন আহাম্মদ ও যন্ত্রসংগীত শিল্পী মনিরুজ্জামান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন থেকে অনুষ্ঠানে সরাসরি সম্প্রচারে যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসকগণ এবং জেলা কালচারাল অফিসারগণ।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন-“সবধরনের অপপ্রচার পরিহার করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই সংস্কৃতির ভুমিতে দাড়িয়েঁ সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে”।

তিনি বলেন- “সারাদেশের দেড় হাজার যন্ত্রশিল্পী এই অনুষ্ঠানে যুক্ত আছে, তাদের সাধুবাদ জানাই। এক সময় আমাদের ছয়শত একুইস্টিক যন্ত্র ছিলো এই দেশে কালের গর্ভে অনেক যন্ত্র হারিয়ে গেছে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি যন্ত্রসংগীতের মিউজিয়াম করতে চাই তার মাধ্যমে সকল যন্ত্রের সুর সংরক্ষণ করা হবে। সারাদেশে যত যন্ত্রশিল্পী আছে তাদের তালিকা করে তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। যারা যন্ত্র তৈরী করে তারাও বড় শিল্পী তাদের পৃষ্টপোষকতা করতে চাই”।

মহাপরিচালক আরো বলেন- “আমরা ২য় বারের মত জাতীয় পর্যায়ে যন্ত্র সংগীত উতসব আয়োজন করলাম। আমাদের শক্তি, আমাদের বল- আমাদের ভাষা, আমাদের হাজার হাজার মনিষীরা। আমাদের দেশ সৃজনশীল ১৭ কোটি মানুষের মাঝে আমরা সংস্কৃতির পরিবার গড়ে তুলতে চাই”।

এরপর যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বরেণ্য শিল্পী মনিরুজ্জামান। ৮-২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব।