Home মতামত শিল্পী ফেরদৌস পারভীন জানালেন কিছু বেদনার স্মৃতি

শিল্পী ফেরদৌস পারভীন জানালেন কিছু বেদনার স্মৃতি

66

জাকির হোসেন আজাদী: ‘স্মৃতিরা কেনো পিছু ডাকে/ না পাওয়ারই ব্যথার ছবি আঁকে/ যতই ফিরে চাই/ কোথাও কিছু নাই/ ফেলে আসা দিনগুলো আমারে কাঁধায়/ এ জীবন কেনো এতো রং বদলায়/”- এই গানের মত এমনই বেদনার স্মৃতি রোমন্থন করলেন দেশের খ‍্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক উপ সচিব ফেরদৌস পারভীন। তিনি তাঁর ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিরহকাতর হয়ে অনেক কথা বললেন। তিনি বললেন স্মৃতি বড়ই বেদনার।

তিনি বলেন, “জীবনে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে বহুবার। আমি আর আমার স্বামী আব্দুর রহমান খান মন্টু, দু’জনেই বিদেশ ভ্রমণ করতে খুব ভালোবাসতাম। যুক্তরাজ্যে ওয়েল্স ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার সময় কার্ডিফ, ব্যঙ্গর, ছোট ভাই ফারুকের ওখানে লন্ডন গিয়েছি। ইউরোপ ট্যুরে বেলজিয়াম, ফ্রান্স,প্যারিস, লুকসেমবার্গ, অফিসিয়াল ট্যুরে যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড, হল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং স্বামী মন্টুর (রোটারীয়ান) সাথে রোটারী কনভেনশনে যোগদানের জন্য এবং ব্যক্তিগত ভ্রমণে আমেরিকার টেক্সাস ও লস এঞ্জেলেস, সোমেলার বাসায় ও ভাতিজা ফয়সালের বিয়েতে নিউইয়র্ক এবং ছোট বোন শারমিনের ওখানে কানাডা বেড়াতে গিয়েছি।

ইশরাক আরটিভি-র একটি রিয়েলিটি শো “সেরা আমি সঙ্গে মা”-তে পারফর্ম করে ২য় হয়ে নেপালের ৩টি টিকিট পায় । এই সুবাদে ওদের সাথে আমি নেপাল যাই । এসব ভ্রমণে পৃথিবীর অনেক কিছু দেখেছি ও উপভোগ করেছি,হঅনেক সুখস্মৃতি রয়েছে এসব ভ্রমণে। এই ভ্রমণই বোধহয় জীবনের কাল হলো। দুঃসহ যন্ত্রণাময়, বেদনাময় স্মৃতি হয়ে রইল আমেরিকার Missouri ভ্রমণ ।

২০১৪-তে মেয়ে রিয়াহীন ফারজানা লোপা South East Missouri State University-তে Ph.D
করার সুযোগ পায়। ছেলে-মেয়ে (ইশরাক, রেইন) দু’জনকে সাথে নিয়ে যাচ্ছে, তাই আমিও সাথে
গেলাম। ২-৩ মাস পর লোপার বাবাও যাবে লোপাকে একটু সেটেল্ড করে দিয়ে, আমরা দু’জনে আমেরিকায় বেড়িয়ে একসাথে দেশে ফিরে আসবো।
সমস্ত প্রস্তুতি চলছে, অতিথিরা দেখা করতে আসছে। একদিন এক নাতনীর সামনেই আমার স্বামী মন্টু
গেয়ে উঠলো যেওনা সখি ও-ও-ও। আমিও হেসে হেসে গানে গানে উত্তর দিলাম- ডেকো না আমায়
তুমি পিছু ডেকো না। নাতনী হেসেই আকুল।

১৭ আগস্ট ২০১৪ ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্স-এ রওয়ানা হলাম আমেরিকার উদ্দেশ্যে। এয়ারপোর্টে মন্টু
লোপার বিষণ্ন মুখ দেখে জড়িয়ে ধরে আদর করে বললো, তুমি আমাদের গর্ব। তুমি Ph.D করে

আসলে গর্ব করে বলবো- আমি ডক্টরেট মেয়ের গর্বিত বাবা। মন খারাপ করো না, আমিও তো ৩-৪
মাসের মধ্যে আসছি, দেখা হবে Missouri তে তোমার বাসায়।

আবুধাবিতে রাতে থাকতে দিল Sleeping Pot-এ। পটের উপরের ঢাকনাটি টেনে ঘুমাতে ভয় ভয়
লাগলো কেমন যেন ভূতুড়ে মনে হলো। মন্টুকে অবস্থাটি জানিয়ে বললাম, তুমি আসার সময় Sleeping pot না নিয়ে হোটেল নিও।
University Campus-এর কোয়ার্টারে Village on the Green, cape jerado-তে থাকার ব্যবস্থা
হলো। রেইনকে Blanchart E. School, kg-তে, ইশরাককে jonior H. school ক্লাস সেভেনে ভর্তি
করা হলো। লোপার ক্লাশ আরম্ভ হলো। রেইনের স্কুল ছুটির সময় Campus-এর একটি গাছের নিচে বসে
থাকি, ওর স্কুল বাস থামলে বাসায় নিয়ে আসি। সেখানে অন্যান্য গার্জিয়ানদের সাথে গল্প গুজব করি।

শুক্রবারে Shuttel এ করে সবাই Mall এ চলে যাই কেনাকাটা করি। শনি-রবিবারে এখানে ওখানে
বেড়াতে যাই। বেশ মজাই হচ্ছিলো। ইশরাক Student of the mount হচ্ছে টিচাররা প্রশংসা করছে। রেইন-এর স্কুলে Grand Parents Day-তে গেলাম। দেখি আমেরিকান নানী-দাদীরা বড় বড় মালা- দুল পরে সেজেগুজে স্বামীদের সাথে হাত ধরে ধরে ঢুকছে। বিষয়টি মন্টুকে জানালে ও বললো, আমি আসার সময় তোমার জন্য একটি বড় মালা নিয়ে আসবো।

রেইনের স্কুলের Grand Parents Day তে দু’জনে যাবো। তুমি মালাটা পরে নেবে। ইশরাক স্কুলে নাটক করলো। ওদের স্কুলে এই প্রথম কোন এশিয়ান ছেলে নায়ক হলো। মন্টু যেহেতু নাট্যশিল্পী, শুনে গর্ব করে বললো- হবে না, আমারই তো নাতী। এবার আমেরিকায় যেয়ে ইশরাকেরআমেরিকান নায়িকার সাথে অভিনয় দেখবো। লোপার Universityর অনুষ্ঠানে ইশরাক Dance করলো। আমি গান করলাম। মন্টুকে ফোনে বললাম, বিদেশীরা আমার গান খুব পছন্দ করেছে। ও ঠাট্টা করে বললো, বিদেশীদের বেশি গান শুনিও না
পরে….।

আমি যাওয়ার সময় মন্টু বলেছিলো একটা সাদা সার্ট কিনতে, সুন্দর একটি সাদা সার্ট কিনে ওকে
জানালাম। ও বললো, মিলা (লোপার বর) চায়না থেকে একটি সাদা সার্ট এনেছে। ঐ সার্ট ফেরত দিয়ে
সুন্দর একটি মেরুন সার্ট ও Expensive একটি টাই কিনলাম।

ঈদে (৫-১০-২০১৪) সবাই ইসলামিক সেন্টারে গিয়ে নামাজ পড়লাম। সেখানে সবাই মুসলমান।
দুপুরে ইফফাতের বাসায় খেলাম। বিকালে লোপার ক্লাসমেটরা বেড়াতে এলো। রাতে স্কাইপে ঈদের
শুভেচ্ছা বিনিময় করলাম লুইন (ছেলে) ও নাতী ইশানের সাথে। মন্টু বললো, তোমাদের ছাড়া ঈদ খুব
একা-একা লাগলো। আমিও বললাম, যদিও অনেক মজা হয়েছে, তবুও তোমাকে ছাড়া ভাল লাগলো না। তুমি তাড়তাড়ি চলে এসো। হ্যাঁ তাড়াতাড়িই চলে আসবো। Halloween day তে ইশরাক মাস্ক ও রেইন নিঞ্জাটুপি পরে Mall-এ গেল। ঢুকতেই ওদের হাতেই
ব্যাগ ধরিয়ে দিল, প্রতিটি দোকান থেকে লজেন্স দিল। রেইন ইশানের জন্য ও ওর নানা বাবুর জন্য

কিছু লজেন্স ও চকলেট প্যাকেট করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিল। Thanks giving day তে এখানে বড়
বড় Turkey Roast করে বিভিন্ন সেন্টারে আমাদের খাওয়ালো। মন্টুকে বললাম, তাড়াতাড়ি আস
টার্কির রোস্ট খেতে পারবে। নভেম্বর ২০১৪ মন্টু আমেরিকার ভিসার জন্য দাঁড়ালো। জানালো ৫ বৎসরের Multiple Visa পেয়েছে। আমরা সবাই খুব খুশি। আমাকে জানালো এবার (২০১৫ জুনে) Rotary Convention হবে ব্রাজিলে। আমরা আমেরিকা থেকে ফেরার সময় দু’জনে ব্রাজিলে Rotary Convention Attend করে দেশে
ফিরবো। আমিও খুব খুশি হলাম। লোপা ইতিমধ্যে গাড়ি কিনে চালাচ্ছে। বাপকে জানালো- বাপ্পি তোমাকে St. Luis Airport থেকে আমি ড্রাইভ করে বাসায় নিয়ে আসবো। দেখবে তোমার মেয়ে কেমন ড্রাইভ করে আমেরিকায়।

আর বেশি দেরি নেই আগামী মাসে (ডিসেম্বর) আসছি। তুমি ড্রাইভ করবে আর পাশের সিটে আমি বসেঘুরে বেড়াবো। ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ লুইন জানালো, আব্বুর শরীরটা একটু দুর্বল হয়েছে। দুলাভাই ছোট মোরগ এনেছে, স্যুপ খাওয়াচ্ছি। স্কাইপে মন্টুর সাথে কথা বললাম। পরদিন লুইন জানালো টেস্ট করে দেখা গেছে Hemoglobin কম (৮.৫), আব্বু একাই গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ফোনে মন্টুর সাথে কথা বললাম। কি ব্যাপার হাসপাতালে ভর্তি হলে যে, তবুও এতদূর সেন্ট্রাল হাসপাতালে? বাসার (গুলশান) কাছেই তো ভাল হাসপাতাল ছিল। ও বললো ডাঃ মজিদ (ওর বন্ধু) মেডিকেলের একজন নেফ্রোলজিস্টের রেফারেন্স দিয়েছিলো। উক্ত ডাক্তারকে না পেয়ে তারা অন্য ডাক্তারের রেফারেন্স দেয়। তিনি হলেন- অধ্যাপক ডাঃ মাসুদা বেগম, রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক হেমাটোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, চেম্বার- সেন্ট্রাল হাসপাতাল, গ্রীন রোড। তাই তার চিকিৎসাধীনসআছি।

ডাক্তার মাসুদা বলেছে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। কাল রক্ত দেবে পরওই বাসায় চলে যাবো।
তবুও আমি ভাইজান ও জাহিদকে ফোন করে বললাম খোঁজ নিতে। তারা হাসপাতালে গেল। মন্টুর
কাছে ডাক্তারের পরামর্শ শুনে নিশ্চিত হলো।
লুইন Blood -এর ব্যবস্থা করলো। ০৭-১২-২০১৪ তারিখে বিকেলে নার্স ৪ ঘণ্টায় এক ব্যাগ রক্ত
দিলো। ডাক্তার এসে নার্সকে বললো আরও তাড়াতাড়ি করে আর এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে দাও। হয়তো ডাক্তারের কোন তাড়া ছিলো। ২য় ব্যাগ Blood দেয়ার পর রিএ্যাকশন হয়ে মন্টু অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্বর ও শ্বাস কষ্ট হতে থাকে। ICU তে নিয়ে অক্সিজেন দিয়ে রাখে। মিনা ও মুখলেস আইসিইউতে দেখে মন্টুর খুবই শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। ওরা দেখে Oxygen Cylinder ছিদ্র। ঐদিনই (০৮-১২-২০১৪)বিকেলে সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে Diclaration দেয় মন্টুর শরীরের সকল Organ Fail করছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারা যাবে। (উল্লেখ্য, Blood-এর শুধু RBC দেয়ার কথা কিন্তু পরে জানা গেল পানিসহ সম্পূর্ণ রক্ত দিয়েছে। যার ফলে পানি Lung এ ঢুকে Lung এবং Heart এ চাপ দেওয়ার ফলে সব
Organ fail করছে)। আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিতে বললো।

তড়িঘড়ি করে ঐদিনই রাতে মন্টুকে Appollo হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা চিকিৎসাধীন Life Support-এ রাখে, Dr. Sm Abdullah Al-Mamun, Respiratory Medicine এর Under-এ। মিলা Emergency Ticket করে আমাদের ওসব কিছুই না জানিয়ে, লোপাকে বলে, বাপ্পি অসুস্থ আম্মুকে পাঠিয়ে দাও (৯-১২)। বিকেলে ভাগ্নে শাহিন ফোন করে বললো, মামী আপনি দেশে চলে যান, মামার জন্য আমরা বিশেষ দোয়া করছি ইনশা-আল্লাহ ভাল হয়ে যাবেন। আমি Wanda-কে নিয়ে Wall Mart গিয়ে মন্টুর হাসপাতালের জন্য ১টি বেডশীট ও একটি সুন্দর তোয়ালে কিনলাম। রাতে মারিয়া দেখা করতে আসল। ১০-১২-২০১৪ সকালে উইজদান, Anna আসলো, আমাকে ওরা Hug করলো। ওয়ানডা, লোপা, রেইন, ইশরাক আমাকে Airport এ দিয়ে গেল। সবার মনে উৎকণ্ঠা। বাপ্পিকে বলো আমরা সবাই দোয়া করছি। ইনশা-আল্লাহ তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে Missouri-তে চলে আসবে।

ইশরাক বললো, আমরা সবাই নানা বাবুকে রিসিভ করার জন্য অপেক্ষা করে থাকবো। আমি রওয়ানা হলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। মন খুব অস্থির। প্লেনে এক বাঙালি ফ্যামিলি আমার পাশে বসেছিলো। তারা আমার স্বামী অসুস্থ শুনে আমাকে সারা রাস্তায় খুব টেক-কেয়ার করলো। আবুধাবী এয়ারপোর্টে এসে লুইনের ম্যাসেজ পেলাম আব্বুর জ্ঞান ফিরেছে শুনে আশ্বস্ত হলাম।

১২-১২-২০১৪ সন্ধ্যায় ঢাকা পৌছালাম। ভাগ্নে নাছিম এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে গেল। সরাসরি এপোলো
হাসপাতালে যাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি ভাই বোন সবাই গেইটে দাঁড়িয়ে আছে। মাসুমা ভাবি এগিয়ে
এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, চিন্তার কারণ নাই। আপনি আসবেন বলেই মন্টু ভাই-এর আজকে
Sense ফিরেছে। Appollo-‘র ICU-তে আমি আর শিল্পী মন্টুকে দেখতে গেলাম। আমাকে দেখে খুব উচ্ছ্বসিত মনে হলো। অনেক কিছু বলার চেষ্টা করলো। মুখে নল লাগানো থাকায় কথা বোঝা গেলো না। পা নাড়িয়ে বুঝালো সে ভাল আছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। পরদিন সকালে উঠেহাসপাতালে গেলাম। ডাক্তারদের বোর্ড বসলো। তার কাজিন ডাঃ এন.আই. খান ও মামা ডাঃ মাজহারুল ইসলামকে দিয়ে ডাক্তারদের সাথে কথা বললাম। ডাঃ মজিদ দেখতে আসলেন। পরদিন সকালে হাসপাতালে গেলাম। ডাক্তাররা কোনো আশা দিলো না, বুঝতে পারলাম হয়তো সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাত ১০টায় বাসায় ফিরলাম দুলালি আপাকে সাথে করে। রাত ১২টায় (১৫-১২-২০১৪) লুইন মিলাকে ফোন করলো-
তার বাবা আর বেঁচে নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।

মন্টুর আমেরিকায় আর যাওয়া হলো না, চলে গেলো না ফেরার দেশে। শরীরে রক্ত দেয়ার এক সপ্তাহের
মধ্যে। আচমকা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যেন বজ্রপাত হলো আমার মাথায়। আমার জীবনের তারগুলো
ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। আমার পৃথিবী শূন্য হয়ে গেল। হয়ে গেলাম সাথীহারা, দিশেহারা। সবই
আজ দুঃসহ যন্ত্রণাময়, বেদনাময়, স্মৃতি হয়ে থাকলো।

মন্টুর মতো সন্তানদের এমনভাবে আদর যত্ন করতে খুব কম পিতাকেই দেখা যায়। পিতৃহারা হলো
লোপা, লুইন। মন্টুর Missouri তে আর যাওয়া হলো না, লোপার গাড়িতে বসা হলো না। রেইনের তুলে রাখা চকলেট খাওয়া হলো না, ইশরাকের নাটক দেখা হলো না। ইশরাকের নানা বাবুর জন্য অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হলো না। আদরের কন্যা লোপার সাথে আর দেখা হলো না তার বাপ্পির। ছোট্ট ইশানের প্রশ্ন- দাদাজীকে আল্লাহ কেন নিয়ে গেলো? কে দেবে এই প্রশ্নের উত্তর। আজ সবই হয়ে রইল দুর্বিষহ বেদনাবিধুর স্মৃতি আর স্মৃতি। “তুমি ছিলে যখন, আমার জীবন ছিলো ফুলেরই মতন। আজ তুমি নেই কিছু নেই, সবই হলো তাই
স্মৃতি এখন।”