Home সাহিত্য ও বিনোদন শিল্পকলা একাডেমির দু দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

শিল্পকলা একাডেমির দু দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

25

স্টাফ রেপোটার: সারাদেশের প্রতিযোগিদের নিয়ে আয়োজিত দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৩’ দু দিনব্যাপী আয়োজনের সমাপনী, পুনর্মিলনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১ জুলাই সোমবার। বিকেলে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে ৬৪ জেলা ও ঢাকা মহানগর পর্যায়ে বিজয়ী ৬৩ জন প্রতিযোগিকে পুরস্কৃত করা হয়। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে. এম খালিদ এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। দেশের ৬৪ জেলা ও মহানগর পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারী ১৩৬৫ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে চূড়ান্ত/কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গত রোববার ৩০ জুলাই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চগীতিকবির গান, লোকসঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান, সাধারণ নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য, একক আবৃত্তি ও একক অভিনয় ৭ টি বিষয়ে মোট ২১ শ্রেণীতে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

দুদিনব্যাপী চলা এ আয়োজন উপলক্ষ্যে প্রতিযোগী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে একাডেমি প্রাঙ্গণ।

জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত সমাপনী আয়োজনে প্রথম পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাডেমির সম্মানিত সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে. এম খালিদ এমপি। তিনি বলেন- “ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিযোগিতা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সবমিলিয়ে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, এ ধারা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চার প্রসারের পাশাপাশি সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে”।

পরে সভাপতি হিসেবে সমাপণী বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। বক্তব্যে তিনি বলেন –“সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিষয়ভিত্তিক চর্চা কখনই পাঠ্যপুস্তকে ঐচ্ছিক বিষয় হতে পারে না। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আগামি বছর থেকে পাঠ্যসূচিতে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই”। চলচ্চিত্র আবার ঘুরে দাড়িয়েঁছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- সেখানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অবদান আছে। আগামির পৃথিবীটা শিশুদের মতো সুন্দর হয়ে ওঠুক। ব্যর্থতার গ্লানি ঘুচিয়ে এই শিশুরাই ২০৪১ সালে নান্দনিক বাংলাদেশ গঠন করবে বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি”।

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্য থেকে ৫ জন প্রতিযোগী তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন- জান্নাতুল মাওয়া জেসিকা, গোপালগঞ্জ। রাঙামাটি থেকে আদর্শী চাকমা, চট্টগ্রাম থেকে অংকিতা দে, রংপুর থেকে সাদিয়া ইবনাত আনিকা এবং তাহফীম যুনাইরাহ আনশী।

পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সভাপতি।