Home রাজনীতি শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি করছে নারীমুক্তি কেন্দ্র

শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি করছে নারীমুক্তি কেন্দ্র

12

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী এক যৌথ বিবৃতিতে সহপাঠী এবং প্রশাসনের নিপীড়নে অতিষ্ঠ ও হেনস্তার শিকার হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নারীরা নিরাপদ নয়। গত কয়েক মাসে দেশের প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু অসচ্চরিত্রের শিক্ষক এবং বখে যাওয়া শিক্ষার্থী দ্বারা নারী নিপীড়নের ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগ তৈরী করেছে। এইসব ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রায় সবাই সরকারি দলের অথবা তাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরণের অপরাধের জন্ম দিচ্ছে।”

প্রশাসনকে অপরাধীদের পক্ষাবলম্বনকারী ও অবন্তিকাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “অবন্তিকা নিপীড়নকারী সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল তার বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রক্টরের কাছে। সহকারী প্রক্টর নিপীড়নকারীর পক্ষ নিয়ে অবন্তিকাকে আরো বেশি হেনস্তা ও মানহানি করেছে বারবার ডেকে নিয়ে। অবন্তিকা লড়াই করেছে বিচার চেয়ে। কিন্তু অভিভাবকতুল্য শিক্ষক ও সহপাঠীর দ্বারা ক্রমাগত হেনস্তা হওয়া তাকে এ পথে ঠেলে দিলো। অবন্তিকা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী খাদিজার মুক্তির দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একজন সোচ্চার মানুষ যে লড়াই করতে চায়, তাকে এ ভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হত্যাকাণ্ড নয় কি?”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন ধর্ষক—নিপীড়ক আর মাদকের আখড়া হয়ে উঠেছে? প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারেন না। আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য প্রশাসন মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে বারবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের ঘটনার এখনো যে বিচার হয়নি তা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তাছাড়া অভিযোগ আমলে না নেয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে নারীদের প্রতি প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গী ও দায়িত্বহীনতা।”

অবন্তিকা হত্যার বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ দেশের সকল গণতন্ত্রমনা মানুষকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।