Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীর অসদাচরণে অনিরাপদ শিক্ষক, চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

শিক্ষার্থীর অসদাচরণে অনিরাপদ শিক্ষক, চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

66

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: পরীক্ষা কক্ষে বিভাগীয় শিক্ষককে অপমান করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফার্মেসী বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (সেশন ২০১৮-১৯) শিক্ষার্থী রনি মৃধার বিরুদ্ধ। একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সাথে ঘটেছে এমন ঘটনা।

বিচার না পাওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি মেয়ার ঘোষনা দেন ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের। ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অভিযোগকারী শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদনে এসব জানান তিনি।

অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, গত ২৯ আগষ্ট বিভাগের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা (PHR111/Physical Pharmacy-1) পরিদর্শনকালে রনি মৃধা পাশের শিক্ষার্থীর খাতা দেখে লিখে৷ এসময় তাকে আমি একাধিকবার দেখে লেখার জন্য নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার কথা অমান্য করে। ফলে আমি পাশের শিক্ষার্থীকে অন্যস্থানে সরিয়ে দেই। এসময় রনি আবারও আমার সাথে অত্যন্ত উদ্ধত আচরণ করে। এমনকি পাশের শিক্ষার্থীকে সরানোর কারণ জানতে চেয়ে অত্যন্ত উদ্ধত ভাষায় আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রেই চার্জ করে। এবং নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে পরীক্ষা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। পরীক্ষার কক্ষের বাইরে গিয়েও সে আমাকে অনেক বাজে গালিগালাজ করে। তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি বিভাগীয় সভাপতিকে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বলে মনে হয়না।

ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করেন, যতদিন পর্যন্ত এর সুষ্ঠ বিচার না হবে ততদিন পর্যন্ত নিজের নিরাপত্তার কারণে তিনি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রনি মৃধা মুঠোফোনে বলেন, শফিক স্যার আমার সাথে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেড়ে এই অভিযোগগুলো দিয়েছে৷ আমি তার সাথে এরকম কোনো আচরন করিনি। যদি করে থাকি তাহলে ওনাকে প্রমান করতে বলুন। আমি তার সাথে নতজানু হয়ে কথাগুলো বলেছি৷ কিন্তু এটিকে ওনি অনেক বড় ইস্যু বানিয়ে ফেলছে।

এদিকে, রনি মৃধা তার শিক্ষাজীবনের সার্বিক নিরাপত্তা চেয়ে আজ শফিকুল ইসলামের আবেদনের পরপর প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন৷