Home সাহিত্য ও বিনোদন শােকের মাসের সূচনায় বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থালোচনা অনুষ্ঠান

শােকের মাসের সূচনায় বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থালোচনা অনুষ্ঠান

43

স্টাফ রিপোটর: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে বাংলা একাডেমি শোকের মাসের সূচনায় আজ সোমবার সকাল ১১টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ড. মযহারুল ইসলাম রচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শীর্ষক গ্রন্থ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মযহারুল ইসলাম রচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গ্রন্থের প্রকাশক- আগামী প্রকাশনী’র প্রকাশক ওসমান গনি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক নূরুন্নাহার খানম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫-এর শহিদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সূচনা বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, ড. মযহারুল ইসলাম তাঁর গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি তাঁর জীবনদর্শনের বিশদ আলোচনা করেছেন। এই গ্রন্থ বঙ্গবন্ধু-গবেষণার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ড. মযহারুল ইসলামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক মহাকাব্যিক গ্রন্থ। এটি বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় প্রকাশিত তাঁর প্রথম জীবনীগ্রন্থ। তৃণমূল থেকে উত্থিত শেখ মুজিব কী করে জনগণনন্দিত মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন- মযহারুল ইসলাম তার ধারাবাহিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। বাংলার সংগ্রামী ইতিহাসের পরম্পরায় তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, গত শতকের ত্রিশ-চল্লিশ দশক থেকে বাংলার রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক পথযাত্রা; তা লেখক মযহারুল ইসলাম তথ্য ও তত্ত্বের আলোকে উপস্থাপন করে ভাষা আন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে তাঁর ঐতিহাসিক অবদান অসাধারণ দক্ষতায় পাঠকের কাছে পরিস্ফুট করেছেন। ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে একটি আদর্শ সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা, মেধা, শ্রমের ধারাবাহিক ইতিহাস মযহারুল ইসলামের গ্রন্থে উদ্ভাসিত হয়েছে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ওসমান গনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ড. মযহারুল ইসলামের গ্রন্থটির প্রথম প্রকাশক ছিল বাংলা একাডেমি। পরবর্তীকালে আগামী প্রকাশনী এই গ্রন্থের পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করে। এই ঐতিহাসিক মহাগ্রন্থের প্রকাশক হিসেবে আমি গর্বিত এবং বাংলা একাডেমি এই গ্রন্থটি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অত্যন্ত যৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, আবার এসেছে শোকের মাস আগস্ট। আমরা বলতে চাই- শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ, জাগরণ থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। এই সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ড. মযহারুল ইসলাম রচিত গ্রন্থটি একটি আকর গ্রন্থ, সূচক-গ্রন্থ। বাঙালির গণসত্তাকে জাতিসত্তায় রূপান্তরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অভিযাত্রা মযহারুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশাতেই লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ড. মযহারুল ইসলাম আধুনিক ঐতিহাসিকের প্রজ্ঞা এবং লেখক-বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাঁর মানবিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন; যা সর্বকালের পাঠকের কাছেই সমান আবেদন বহন করে কারণ এই গ্রন্থের বিষয় যে মহানায়ক সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অমর, অবিনশ্বর।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থ-প্রদর্শনী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে বাংলা একাডেমি শোকের মাসের সূচনায় আজ থেকে একাডেমির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ভবনে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থের মাসব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।