Home জাতীয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি

36

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিবছরের মতো এবারও ২১শে ফেব্রুয়ারিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ভাষা শহিদদের স্মরণে দেশের সকল শহিদ মিনারে রাত ১২ টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ‍দিবসের সূচনা হবে। পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে সর্বস্তরের জনগণ যাতে শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যে সকল উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে সেখানে তাদেরকে একুশের অনুষ্ঠানমালায় সম্পৃক্ত করার জন্য সভা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঐদিন রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনার আয়োজনের কর্মসূচির হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দিবসটিতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহিদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহিদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহিদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহে প্রচারণা চলবে। সংবাদপত্রসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ মিশনসমূহ স্থানীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বাঙালি অভিবাসীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা, পুস্তক ‍ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
এ দিবসে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীতে ট্রাকের মাধ্যমে রাজপথে এবং নৌযানের সাহায্যে ঢাকা শহরসংলগ্ন নৌপথে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর তিন ধরনের পোস্টার মুদ্রণ করবে।