Home জাতীয় রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ

রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ

11

স্টাফ রিপোটার: সীমাহীন লুটপাটের দেশের অর্থনীতি শূন্য হয়েছে। যার প্রভাবে বাজার পরিস্থিতি চরম খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে বাজার থেকে কয়েকটি ব্যাংক মালিক লুটেরা বাণিজ্য গোষ্ঠী বিপুল অর্থ তুলে নিচ্ছে। তারা সম্পদ পাচার করছে। রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনের ছত্রছায়ায় দেশে অবাধ লুটপাট চলছে। সরকার সচেতনভাবে এই দুষ্টু চক্রকে লালন-পালন করছে। দেশের গরিব মানুষের পকেটে টাকা নেই, বাসায় খাবার নেই। অভাব অনটনে জীবন পার করতে হচ্ছে আর অন্যদিকে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে।
আজ ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারি সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মঞ্জুর মঈন, দুলাল সর্দার, হাজারীবাগ থানার সভাপতি সুমন মৃধা, কামরাঙ্গীরচর থানার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, পল্লবী থানার নেতা ইমরান হাসান শিপলু, কালাপানি অঞ্চলের নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আজ জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। সরকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সও দিচ্ছে না। বরং নানানভাবে স্ব-কর্মসংস্থানগুলো বন্ধ করছে এবং কার্ড ব্যবসার নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে সরকারের ছত্রছায়ায় চলছে অবৈধ চাঁদাবাজি। মানুষ যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করলে আন্দোলনের ওপর পেটোয়া বাহিনীর দমন-নির্যাতন চলছে। বাঁচার মত মজুরি দাবি করায় শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে অবৈধ কার্ড ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় শ্রমিকের ওপরে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা এবং প্রশাসনের মদদে মিথ্যা মামলা দিয়ে শ্রমিকনেতাকে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হয়।
সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারি বলেন, দেশের জনগণ ভোটের মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচন করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কালো আইন করে কথা বলার সুযোগও কেড়ে নেয়া হয়েছে। অধিকার হারিয়ে দেশের সবচাইতে নির্যাতিত-নিপীড়িত গরিব মানুষ। তাদের জীবন আজ বিপর্যস্ত। এখনই যদি প্রতিরোধ করে গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্যবস্থার পরিবর্তন না করি, তাহলে সামনে দেশে গরিব মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ কার্ড ব্যবসা, চাঁদাবাজি বন্ধ করে রিকশার লাইসেন্সের দাবি জানান।