Home সারাদেশ রাজশাহীতে ল গৃহবধূকে মেরে আহত বসত বাড়ীতে হামলা,ভাংচুর-লুটপাট:চন্দ্রিমা থানা নিরব

রাজশাহীতে ল গৃহবধূকে মেরে আহত বসত বাড়ীতে হামলা,ভাংচুর-লুটপাট:চন্দ্রিমা থানা নিরব

30

মো.পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী অফিস: রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন পারিলা ইউনিয়নের মুরশোল বাচ্চুর মোড় বাগানপাড়া এলাকায় পূর্ব শক্রুতার জের ধরে গৃহবধূ ও তার বাবা অটোচালক মানুকে মেরে গুরুতর আহত এবং বসত বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায় মৃত মিঠুর তিন ছেলে রবিউল ৩৮,সম্রাট ২৬,রিপন ২৮ একত্রে হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অটোচালক সেলিমের স্ত্রী এরিনা ৩২ ও মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা তার বাবা মানু ৪৫ কে মেরে গুরুতর আহত করেন এবং অটোচালক সেলিমের অটো রিক্সা বিক্রি করা পঞ্চাশ হাজার টাকা কাঠের ডেসিং টেবিলে রাখা ডয়ের ভেঙ্গে লুটপাট এবং গৃহবধূর এরিনার গলায় থাকা বারো আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন এরিনা ও তার পরিবার।

এরআগে ঘটনার দিন এরিনা ও তার আহত বাবা মানু আহত অবস্থায় চন্দ্রিমা থানায় অভিযুক্তদের নামে মামলা করতে গেলে দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে গেলে তাদের বলা হয় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন তার পরে মামলা হবে।

যথাযথ তাদের কথা অনুযায়ী ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় গেলে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রফিকুল হক তাদের আহত অবস্থায় দেখলেও মামলা না নিয়ে অভিযোগ নেন এবং সেই ঘটনার সাক্ষী থাকলেও তিনি বলেন আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া ঘটনার দিন উপস্থিত নবীন ৩০ নামের এক ব্যাক্তি জানান,ঘটনার দিন আমি যদি ঘটনা স্থলে না আসতাম তাহলে মানু ও এরিনা ভাবিকে তারা মেরেই ফেলতে।আমি এরিনা ভাবির পাশে এক দোকানে পণ্য কিনতে এসে চিৎকার শুনতে পেয়ে দরিয়ে গিয়ে দেখি এরিনা ভাবিকে মাটিতে ফেলে মারা হচ্ছে এবং তার বাবা মানু চাচাকে হাসুয়ার উল্টা পিঠ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেরে গুরুত্বর আহত করা হচ্ছে।

এছাড়াও এলাকার প্রতিবেশিরা ক্যামেরার সামনে ভয়ে মুখ না খুললেও সাংবাদিকদের জানান,একজন ছেলে মানুষ হয়ে মেয়ে মানুষকে এভাবে মারাটা উচিত নয়। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ এরিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সন্ত্রাসী হামলা কারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানান জন্য চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল হকের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।