Home সারাদেশ রাজশাহীতে কর্নেল তাহের বীরউত্তমের হত্যাবার্ষিকী পালিত

রাজশাহীতে কর্নেল তাহের বীরউত্তমের হত্যাবার্ষিকী পালিত

43

মো.পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী: মৃত্যুঞ্জয়ী সেক্টর কমান্ডার,সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের মহানায়ক,জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা,মহান বিপ্লবী শহীদ আবু তাহের বীরউত্তমকে জিয়ার সামরিক আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসণমূলক বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ৪৭তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজশাহী মহানগর জাসদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৫ টায় নগরীর অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর জাসদের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন,শাহরিয়ার রহমান সন্দেশ,সাবেক ছাএনেতা ফয়েজুল্লা চৌধুরী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল করিম কাজল,জাসদ নেতা সাইদুর রহমান আইয়ুব,গোলাম মুস্তফা খান পিকুল,জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জোহেব হোসেন রনি,সহ সম্পাদক মো.পাভেল ইসলাম মিমুল সাবেক ছাএনেতা এ এইচ এম জুয়েল খান প্রমুখ।

আরো উপস্থিত ছিলেন ২৫ নং ওয়ার্ড জাসদের সভাপতি মোবারক হোসেন খোকন,সাধারণ সম্পাদক সোহাগ রহমান বাপ্পি,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ননী-মাসুদ) রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সিহাব উদ্দিন সোহাগ,
ছাএনেতা সোহেল রানা,মোঃ সাজন ইসলাম,মোজাহিদুল ইসলামসহ নগরীর থানা ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী শহীদ কর্নেল তাহের বীরউত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,কর্নেল তাহের একজন মহান দেশপ্রেমিক বিপ্লবী মহানায়ক আর জিয়া একজন বিশ্বাসঘাতক খলনায়ক। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল,তাহেরকে হত্যা করেছিল,জাসদকে নির্মূল করতে চেয়েছিল-তারা এখনো পাকিস্তানপন্থার রাজনীতিরই ধারক-বাহক। এরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদি শত্রু। এরা দেশে সাংবিধানিক ধারা বানচাল করে নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরোধীতা করে অসাংবিধানিক-অস্বাভাবিক
সরকার এনে ঘোলা জলে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন,৭১ এর খুনী, বঙ্গবন্ধুর খুনী, তাহেরের খুনী বাংলাদেশের আদি শত্রু পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি-জামাত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের রাজনীতি মোকাবেলা করে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথে রাখা এবং শোষন-বৈষম্য-
দুর্নীতির অবসান করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামের মধ্যেই কর্নেল তাহেরের স্বপ্ন ও আদর্শ বেঁচে থাকবে।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু বলেন, যে দেশী-বিদেশী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারাই জিয়ার নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহকে নস্যাৎ করতে শহীদ কর্নেল তাহের,বিদ্রোহী মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী এবং জাসদের উপর মরন কামড় হানে। জিয়া তার প্রাণ রক্ষাকারী কর্নেল তাহেরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসণমূলক বিচারে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে হত্যা করে, জাসদ নেতাদের দীর্ঘ মেয়াদী কারাদন্ডে দন্ডিত করে। দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবেলার সংগ্রামের সমান্তরালেই শ্রমিক-নারী-সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। সমাজ বদলের সংগ্রামে শহীদ কর্নেল তাহের চিরদিন প্রেরণার উৎস হিসাবে থাকবেন।

জাসদের নেতৃবৃন্দ বলেন,তিনি ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী। কর্নেল তাহের চেয়েছিলেন ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্র-প্রশাসন-আইন-কানুন এবং পূঁজিবাদী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দেশী-বিদেশী শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় ঠেলে দেয়।শহীদ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাধারণ সিপাহীরা বঙ্গবন্ধুর খুনী ও উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসারদের ক্ষমতা দখলের রাজনীতি ক্যু-পাল্টা ক্যুর বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত করেছিল।