Home রাজনীতি রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ

রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ

43

স্টাফ রিপোটার: রাজধানীতে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভার কর্মসূচি পালিত করেছে নবগঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ।

রবিবার বিকেলে পুরানা পল্টন মোড়ে শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলানোর জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে আগামী ২৭ আগস্ট গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতৃবৃন্দ আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, হাসনাত কাইয়ুম, হাবিবুর রহমান ঋজু, রাশেদ খান, শহীদুল ইসলাম মাহমুদ স্বপন, আখতার হোসেন, বাচ্চু ভুইয়া, ইমরান ইমনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পুরানা পল্টন মোড়ে শুরু হয়ে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভার কর্মসূচি শান্তিনগর মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সভা সঞ্চালনা করেন আকবর খান।

পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার অবৈধভাবে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। সরকার তার লুটপাট-দুর্নীতির ব্যায়ভার জনগণের উপর চাপাচ্ছে। সরকারের কাছের লোকদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতেই জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করেছে যার ফলে এখন বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা খাঁদের কিনারায় গিয়ে ঠেকেছে। ফলশ্রæতিতে ডলারের সংকটকে পুঁজি করে জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। আমরা অবিলম্বে এ পর্যন্ত অর্চিত মুনাফা ও কর সমন্বয় করে জ্বালানী তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সারাদেশে চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরীর দাবিতে আন্দোলন করছেন তাদেরকে ১৪৫ টাকা মজুরী দেয়ার কথা বলছে। বর্তমানের এই বাজারে এই টাকা মজুরি হিসাবে প্রস্তাব করাই অমানবিক। আমরা অবিলম্বে চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরী দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে দেশের সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে এখন প্রকাশ্যভাবে তারা তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করে দেশদ্রোগিতার অপরাধ করেছেন, অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নতুবা এ বক্তব্য সরকার প্রধানের বক্তব্য হিসেবে প্রতীয়মান হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতায় কারা থাকবে এটা দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে। রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে আর বিদেশী করুনা ভিক্ষা করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ বর্তমান জনসম্মতিহীন ফ্যাসিবাদী সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তর অর্ধ্যাৎ শাসনব্যবস্থা বদলানোর লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবাম জানান।