Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস যেকারণে সাফাল্যের শীর্ষে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ

যেকারণে সাফাল্যের শীর্ষে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ

30

স্টাফ রিপোর্টারঃ নিজস্ব ক্যাম্পাসে মনোমুগ্ধকর ও পরিচ্ছন্ন-পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের আদব-কায়দা শিখিয়ে ভবিষতে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ। শুধু তাই নয়, প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো শিষ্ঠাচার-ভদ্রতাও শিক্ষা দিচ্ছেন এই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শদীদদের স্বরণ, জাতীয় চার নেতা, ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, শিক্ষা দিবসসহ নানা কর্মসূচি পালন করে নজির গড়ে তুলছে ঐতিহ্যবাহি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ও বিশ্ব মা দিবস, সড়ক দুঘটনা রোধে রাস্তা পারাপারে জনসচেতনামূলক ট্রাফিক প্রশিক্ষন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলা হচ্ছে। এরফলে যেকোনো পরিক্ষায় মেধা তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার দুপুরে এ এসব তথ্য জানান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ‘র অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।
সর্বশেষ রাজধানীর মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া ১৬ জন সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ কলেজের শিক্ষার্থী ইমন হোসেন পলাশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ‘অ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন। শিক্ষার্থী ইয়ামিন হাওলাদার ‘উ’ ইউনিটে প্রথম, শিক্ষার্থী আয়শা আমিন আফরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘গ’ ইউনিটে (বাণিজ্য) দ্বিতীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঈ’ ইউনিটে ৯২তম স্থান অর্জন করেছেন। এ ছাড়া সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোয় ১৬ জনসহ শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, নিয়মিত পাঠদান কর্মসূচি তদারকি, শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিকতা এবং শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যবসায়ই এই সাফল্যের রহস্য বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। তিনি বলেন, এই কলেজের শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতায় উৎসাহিত করতে বিশেষ পদপেক্ষ নেওয়া হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আলোকিত মানুষ হতে হলে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করলেই হবে না, সামাজিক দায়বদ্ধতাও থাকতে হবে। মানবিক গুণাবলী অর্জন না করলে প্রাতিষ্ঠানিক এ শিক্ষার কোনো দাম নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর মাত্র চার বছরের মধ্যেই সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার ফলে ঢাকা বোর্ডে মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য তাদের রয়েছে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষক। তাই প্রথম বছর থেকেই শিক্ষার্থীরা ভাল ফল করছে। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সকলের জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়েই এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই থেকে শুরু, এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সাফল্য লাভ করছে কলেজটি। কলেজটিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, ডিজিটাল লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ। কিছু আলাদা বিশেষত্বের কারণে এই কলেজে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী। এখানে শিক্ষাব্যয় সাধ্যের মধ্যে; ফুলটাইম অভিজ্ঞ নিবেদিত শিক্ষকমণ্ডলী; কো-কারিকুলাম কার্যক্রমের জন্য একাধিক ক্লাব, ইংরেজীসহ বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য কোর্স।