Home জাতীয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বিআইডব্লিউটিএ

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বিআইডব্লিউটিএ

26

ডেস্ক রিপোর্ট: নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণকে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। হটলাইন নম্বরটি এবং সচেতনতামূলক বাণী সকলের অবগতির জন্য বিআইডব্লিউটিএ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাতের বেলায় স্পীডবোট চলাচল বন্ধ করার জন্য ও লঞ্চে/ফেরিতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যেন কোনভাবেই আদায় না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে।

আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত ৩০ মার্চ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খলিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২৩ উপলক্ষ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোঃ আব্দুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয় যে, ৩০ মার্চের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতিত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ; রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ এবং আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা সদরঘাটে সকল যাত্রীবাহী নৌযানে ঈদের আগে ৫ (পাঁচ) দিন মালামাল ও মোটর সাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ (পাঁচ) দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে ঢাকা সদরঘাটে আগত নৌযানে মালামাল ও মোটর সাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখতে হবে; লঞ্চ ও ফেরির সকল স্টাফকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে; লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি রাখতে হবে এবং সেগুলো যাত্রীদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে; প্রত্যেক লঞ্চে প্রশস্ত সিঁড়ি এবং সিঁড়ির দু’পাশে মজবুত রেলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে; সকল ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টয়লেটসমূহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে; সকল নদী বন্দরের টার্মিনাল ও ঘাট/পয়েন্ট এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিসি উপরোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবে।

সভায় আরো জানানো হয় যে, ৩০ মার্চের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহিত কার্যক্রম সন্তোষজনক। লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায় কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও নৌপরিবহন অধিদফতর এর কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। সুষ্ঠু ও নিরাপদ ঈদ যাত্রার স্বার্থে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আটটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে। ১৯-২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিজিলেন্স টিম সংশ্লিষ্ট নৌ বন্দরে কাজ করবে।