Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মোবাইলে থ্রিডি গ্রাফিক্সের মানোন্নয়নে ওপেন থ্রিডি ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করবে অপো

মোবাইলে থ্রিডি গ্রাফিক্সের মানোন্নয়নে ওপেন থ্রিডি ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করবে অপো

33

ডেস্ক রিপোর্ট: অপো সম্প্রতি লিনাক্স ফাউন্ডেশনের অলাভজনক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওপেন থ্রিডি ফাউন্ডেশনে (ওথ্রিডিএফ) প্রিমিয়ার মেম্বার হিসেবে যোগদান করেছে। থ্রিডি গ্রাফিক্স, রেন্ডারিং ও গেম ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত ওপেন-সোর্স প্রজেক্ট শেষ করতে সহায়তা করার মাধ্যমে ডেভেলপারদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে ২০২১ সালে ওথ্রিডিএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট হচ্ছে ওপেন থ্রিডি ইঞ্জিন (ওথ্রিডিই) – এটি একটি ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ওপেন-সোর্স ইঞ্জিন যার মাধ্যমে এএএ গেমস ও সিনেমার মতো থ্রিডি ওয়ার্ল্ড তৈরি করা যাবে। ওথ্রিডিএফ-এ অ্যাডোবি, আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস, ইনটেল এবং মাইক্রোসফটের মতো ২৫টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানি সহযোগী সদস্য হিসেবে রয়েছে।
এই ফাউন্ডেশনে যোগদান করে অপো মোবাইল ডিভাইসের থ্রিডি গ্রাফিক্সের উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়াতে এবং ইন্ডাস্ট্রির নেতৃস্থানীয়দের সাথে একযোগে থ্রিডি গ্রাফিক্সের পারফরমেন্স বৃদ্ধি করতে কাজ করবে। ওথ্রিডিএফ-কে দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অপো এই ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বোর্ড ও টেকনিকাল অ্যাডভাইজরি কমিটিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া অপো মোবাইল ডিভাইসে ওপেন থ্রিডি ইঞ্জিনের (ওথ্রিডিই) মানোন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরিতে একসাথে কাজ করবে।
অপো সফটওয়্যার টেকনোলোজি প্ল্যানিং-এর ডিরেক্টর হ্যানসেন হং বলেন, “এখন থ্রিডি গ্রাফিক্স প্রযুক্তি আধুনিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, গেমিং ও মেডিকেল ইমেজিং থেকে শুরু করে মেটাভার্সের মতো নেক্সট-জেনারেশন কন্টেন্ট। ওথ্রিডিএফ’র বিকাশের প্রথম দিকেই প্রিমিয়ার মেম্বার হিসেবে যোগ দিতে পেরে ভালো লাগছে। ফাউন্ডেশনের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে মোবাইল প্ল্যাটফর্মে ওপেন থ্রিডি ইঞ্জিনের উন্নয়নে অবদান রাখবে অপো। মোবাইল ডিভাইস ওয়ার্কিং গ্রুপের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে ওথ্রিডিই ডেভেলপারদের জন্য স্মুথ ও ব্যবহার উপযোগী অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে এবং আমরা মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বাস্তবসম্মত রেন্ডারিং অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আসবো।”
ওথ্রিডিএফ’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও লিনাক্স ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল মিডিয়া ও গেমসের জেনারেল ম্যানেজার রয়্যাল ও’ব্রায়ান বলেন, “এই কমিউনিটিতে অপো যোগদান করায় আমরা আনন্দিত। ওথ্রিডিই প্রজেক্টের মাধ্যমে থ্রিডি গ্রাফিক্সের উন্নয়নে তাদের অবদান আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। অপো’র মতো নতুন সদস্যদের যোগদান ওথ্রিডিই’র মডিউলার আর্কেটেকচারের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। এই আর্কেটেকচার ডেভেলপারদের বিভিন্ন রকম প্রয়োজনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রযুক্তি একত্রিত করার মাধ্যমে থ্রিডি সল্যুশন তৈরি করার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। মডিউলার অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে কোর টেকনোলোজিকে প্রসার করে কীভাবে আরও ব্যবহার উপযোগী করা যায় তার একটি ভালো উদাহরণ মোবাইল গেমিং।”
ওথ্রিডিই ফটোরিয়েলিস্টিক থ্রিডি ও অন্যান্য ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি একটি মডিউলার, ওপেন-সোর্স ও ক্রস-প্ল্যাটফর্ম থ্রিডি ইঞ্জিন, যা এএএ গেমস থেকে শুরু করে সিনেমার মতো থ্রিডি ওয়ার্ল্ড এবং হাই-ফিডেলিটি সিমুলেশন তৈরি করতে সাহায্য করে। বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য এই ইঞ্জিনটি অ্যাপাচি ২.০ ও এমআইটি থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। ওথ্রিডিই একটি পূর্ণাঙ্গ মডিউলার কন্সট্রাকশন ফিচার, যা ডেভেলপারদের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফাংশন বেছে নিতে সাহায্য করে। ডেভেলপাররা এর মাধ্যমে নতুন টুল, ফাংশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রসেস (প্রজেক্ট সংক্রান্ত) যুক্ত করতে পারবে। এছাড়া, এর ক্রস-প্ল্যাটফর্ম কমপ্যাটিবিলিটি রিয়েল-টাইম থ্রিডি অ্যাসেটস ও ডেভেলপমেন্ট ইনভায়রনমেন্টের টুলগুলোকে আরও কার্যক্ষম করে তুলবে, যা শিল্পী ও ডেভেলপারদের তাদের সৃষ্টিশীল সত্তার বিকাশে সাহায্য করবে।
ওথ্রিডিএফ কমিউনিটিতে অপো যোগদান করায় মোবাইল ডিভাইসে ওথ্রিডিই ফিচার যুক্ত ও সক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরও ত্বরাণ্বিত হবে, যা আরও বেশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে ‘রে ট্রেসিং’ এর মতো অ্যাডভান্সড কম্পিউটার গ্রাফিক্স ফিচারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এ বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত গেম ডেভেলপার কনফারেন্সে (জিডিসি) অপো কালারওএস রে ট্রেসিং থ্রিডি ওয়ালপেপার উন্মোচন করে, যা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ইন্টার‍্যাক্টিভ রে ট্রেসিং ব্যবহার করার প্রথম উদাহরণ। এতে ভার্চ্যুয়াল আলো ভার্চ্যুয়াল এনভায়রনমেন্টের সাথে এক হয়ে ছায়া ও প্রতিফলনের মতো বিভিন্ন জীবনঘনিষ্ঠ আলোর ইফেক্ট তৈরি করে, যা ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনে দেখতে পারবেন।
ওথ্রিডিএফে যোগদান ও অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অপো আগামীতেও সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে ডেভেলপার এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাবে, যেন আরও বেশি মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ পায় এবং জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে পারে।