Home রাজনীতি মানবতাবিরোধী এক স্বৈরশাসকের নাম শেখ হাসিনা: রিজভী

মানবতাবিরোধী এক স্বৈরশাসকের নাম শেখ হাসিনা: রিজভী

31

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার ১৪ বছরের কুশাসনে সবচেয়ে বেশী লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছে নারীরা। ‘৭১ এ বাংলার মানুষকে নিধনে ইয়াহিয়া খান যে বর্বরোচিত দৃষ্টান্ত রেখেছে সেটিকে অনুসরণ করছেন শেখ হাসিনা। মানবতাবিরোধী এক স্বৈরশাসকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে মনুষ্যত্বহীন সকল কর্মকান্ডের জননী হচ্ছেন শেখ হাসিনা।আজ ০৬ নভেম্বর প্রেস ব্রিফিং এ একথা বলেন তিনি।

তিনি ব্রিফিং এ অভিযোগ করে জানান, গতকাল বরিশাল শহরে বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ লঞ্চে ঢাকা সদরঘাটে পৌঁছার পর গাড়ীতে উঠে কিছুদুর অগ্রসর হলে র‌্যাব-৩ এর একটি টিম এসে গাড়ী আটক করে এবং সবাইকে র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সুলতানা আহমেদ এখন র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে। এই ঘটনা শুধু অমানবিকই নয়, একজন সম্মানিত নারী নেত্রীর প্রতি চরম অবমাননা এবং সরকারপ্রধানের ব্যক্তিগত ক্রোধ চরিতার্থ করার বর্ধিত প্রকাশ। দেশে শুধু বিরোধী দলীয় পুরুষ নেতাকর্মীরাই নয়, নারী নেত্রীরাও সরকারী আক্রোশ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দেশে শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই ভয়ানক ভয়ের পরিবেশের মধ্যে দিন যাপন করছে। সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণের কারণে যে কেউ মারাত্মক সরকারী জুলুমের মধ্যে পড়তে পারে। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সেই জুলুমেরই শিকার হয়েছেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই বন্দুকের নিশানা হওয়া।

রিজভী বলেন, সরকার জুলুমের নানা ধরণের বৃত্ত রচনা করেছে। সুলতানা আহমেদকে তুলে নিয়ে কোন ‘আয়নাঘরের’ কয়েদখানায় রাখা হয়েছে সেটি আমরা কেউ জানিনা। দুঃশাসনের জাল আষ্টেপৃষ্ঠে চারিদিক দিয়ে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র যাতে ফিরে আসতে না পারে সে কারণে গভীর ভয়ের ঘেরাটোপে বাংলাদেশকে বন্দী করে রাখতে চাচ্ছে শেখ হাসিনা। সবাইকে চুপ থাকতে হবে, কেউ যাতে নড়াচড়া করতে না পারে-এটাই শেখ হাসিনার নীতি। শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষক র‌্যাব-৩ সুলতানা আহমেদকে গ্রেফতার করে যে কলঙ্কজনক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তা অমানবিক ও কাপুরুষোচিত।

বিএনপির এই নেতা , আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা উল্লেখ করেন।
কর্মসুচির মধ্যে আগামীকাল সকাল ৬ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে।আগামীকাল সকাল ১১ টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।বিএনপি’র উদ্যোগে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২ টায় উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়াও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে। ইতোমধ্যে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে পোষ্টার পাঠানো হয়েছে। দিবসটিতে আগামীকাল বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।এবং অনুরুপভাবে দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে।