Home জাতীয় বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশে

বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশে

25

ফ্রিডম হাউজ প্রতিবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট: ফ্রিডম হাউসের ২০০৩ সালের প্রতিবেদনে গ্লোবাল ফ্রিডম স্কোরে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪০। ২০০২ সালে এটি ছিলো ৩৯। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার চর্চার স্বাধীনতা আংশিক, এমনই বলা হয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউজের বার্ষিক প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘বিশ্বে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা: গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের ৫০ বছর’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত ১৭ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার মানের অবনমন হচ্ছে। এরপরও যে দেশগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং যে দেশগুলোর পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি তাদের মধ্যে ব্যবধান কমেছে। ২০০৬ সালে স্বাধীনতার নেতিবাচক প্রবণতা শুরুর ব্যবধানের হার এবারই সবচেয়ে কম।

এই প্রতিবেদনে গত ১০ বছরে স্বাধীনতার অবনতি হয়েছে এমন দেশের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।

২১০টি দেশ ও অঞ্চলের অবস্থান নিয়ে ফ্রিডম হাউজ এই প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে মোটেও স্বাধীন নয়, আংশিক স্বাধীন এবং স্বাধীন- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতার পরিস্থিতি নির্ণয় করা হয়।

প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বিরোধী দল এবং এর সঙ্গে যুক্ত বলে যাদের ধারণা করা হয়, তাদের, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে অব্যাহত হয়রানির মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা সুসংহত করেছে আওয়ামী লীগ।

আরো বলা হয়, অবাধে দুর্নীতি ঘটছে। রাজনীতিকীকরণের মধ্য দিয়ে দুর্নীতিবিরোধী প্রয়াসকে দুর্বল করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনায় দুর্বলতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বাংলাদেশে গুরুতর সমস্যা।

প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বাংলাদেশের কিছু অগ্রগতিও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রথমত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড কমে এসেছে। দ্বিতীয়ত, বিরোধী দল বিএনপির সভাসমাবেশে যে প্রতিবন্ধকতা ছিলো, তা কমেছে। দলটি কর্মসূচী পালন করতে পারছে, যদিও সরকারি বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের বাধাবিপত্তির মুখে পড়ছে দলটি।
আমাদের সময়.কম