Home জাতীয় বেতন মওকুফসহ হল খুলে পরীক্ষা নেবার দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের হুশিয়ারি

বেতন মওকুফসহ হল খুলে পরীক্ষা নেবার দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের হুশিয়ারি

90

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত ১ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ বন্ধ রাখার শর্তে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্বান্ত গ্রহণ করেন। এসময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যা প্রত্যাখ্যান করেছে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ জানায়, পরীক্ষা নেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনাকলীন সময়ে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা না করে ফর্ম পূরন ও রেজিষ্ট্রেশন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থ শোচনীয়। এ সাথে এ ধরনের বেতন ফি পরিশোধ করা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর। এছাড়া প্রায় দুই বছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। শিক্ষার্থীরা হল, পরিবহন, লাইব্রেরী, ইন্টারনেট, মেডিকেল এবং একাডেমিক কাজের সরাসরি কোন সেবা গ্রহণ করেনি। অতএব, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব ফি নেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ রাখার শর্তে পরীক্ষা নেবার নির্দেশনা দিয়েছেন। এভাবে হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়া একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। কারণ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পরীক্ষা নেয়ার জন্য নতুন করে বাড়ি ভাড়া নিতে হবে। এটা শিক্ষার্থীর জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’র মত। প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি আর্থিক সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এসময় যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বশেমুরবিপ্রবি সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনাকলীন বেতন-ফি মওকুফ করে শিক্ষার্থীদের সাথে মানবিক আচরণ করবেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দরকার হয় শিক্ষার্থীদের করোনা টেস্ট সম্পন্ন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে রাখার ব্যবস্থা করবেন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক এবং আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক পাক্ষিকভাবে সিন্ধান্ত নিতে চলেছে। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব বারংবার এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন। তাই করোনাকলীন সময়ে সকল ধরণের বেতন ফি মওকুফ করার সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের হলে রাখার ব্যবস্থা না করলে প্রয়োজনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করে ছাড়বো।