ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বেগম রোকেয়া দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে আমি নারী জাগরণের অগ্রদূত মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেগম রোকেয়া পদক প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া ছিলেন একাধারে একজন চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। বাঙালি সমাজ যখন ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা আর সামাজিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল, সেই সময় তিনি বাংলার মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস ও কর্মময় জীবন নারী সমাজের জন্য এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।
সরকার নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইনপেশা, প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, শিল্প-সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ পেশাভিত্তিক সকল ক্ষেত্রে নারীদের আজ গর্বিত পদচারণা। নারীর এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতা অতীব জরুরি বলে আমি মনে করি। বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
নারী ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখার জন্য যাঁরা এবছর ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২২’ পেয়েছেন আমি তাঁদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাঁদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও এগিয়ে যাবে অভিষ্ট্য লক্ষ্য অর্জনের পথে বেগম রোকেয়া দিবসে এ আমার প্রত্যাশা।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”