Home সাহিত্য ও বিনোদন বিপুল সমাগমে জমজমাট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পিঠা উৎসব

বিপুল সমাগমে জমজমাট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পিঠা উৎসব

19

স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০ ৬ষ্ঠ দিনেও জমজমাট। চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, বাকি আর মাত্র ৫ দিন।

০৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর থেকেই জমে ওঠে পিঠা উৎসব। গরম গরম তেলে ভাজা পিঠার স্বাদ নিতে স্টলে স্টলে ভিড় করছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরী করেন সেই শিল্পীদের নিয়ে ৫০ টি স্টল স্থান পেয়েছে এবারের পিঠা উৎসবে। পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে নগরের বিভিন্ন ধরনের আদি পিঠা স্থান পেয়েছে স্টলগুলোতে। বিবিখানা, জামাই আদর, ডিম সুন্দরী, ক্ষ্যাতাপুরী, ক্ষীর পাটিসাপটা, নারিকেল গুড়ের পুলিপিঠা, খেজুর গুড়ের পিঠা, সাংগ্রাই মুং, আদিবাসীদের কলা পাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সাথে পুর সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন শিল্পীরা।

অন্যদিকে পরিবেশিত হয়েছে লোক- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠার সাথে লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সঙ্গীত, নৃত্য উপভোগ করেন আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শকরা।

আজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় সমবেত নৃত্য ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে’ পরিবেশন করে নৃত্যছন্দ। পরিচালনায় বেনজির সালাম। এরপর কবি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কবিতা ‘বাউল’ আবৃত্তি করেন কাজী মাহতাব সুমন। একক সংগীত হাছন রাজার গান ‘লোকে বলে বলেরে’ পরিবেশন করেন তাহফীম যুনাইরা আনশী। একক সংগীত পরিবেশন করেন উপমা আক্তার বৃষ্টি পরিবেশন করেন বাউল শংকর দাসের গান ‘আমি খাজা বাবার দেওয়ানা’; নারায়ন চন্দ্র শীল পরিবেশন করেন রমেশশীলের গান ‘মাঝি ত্রিবেনীর দেশে’ এবং স্বরলিপি পরিবেশন করেন দূরবীন শাহ এর গান ‘নির্জন যমুনার কূলে’ । এরপর কবি কন্ঠে স্বরচিত ছড়া ‘আসলে বাড়ি আইতো’ পাঠ করেন আসলাম সানী।

সমবেত নৃত্য ‘কলো কলো ছলো ছলো’ পরিবেশন করে নাঈম খান ডান্স কোম্পানী, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক আবু নাঈম। আবার একক সংগীত শাহ আলম সরকারের গান ‘দিলনা দিলনা নিল মন’ পরিবেশন করেন আফসানা হক ইমু; জলিলুল আলমের গান ‘যে জন প্রেমের ভাব জানেনা’ পরিবেশন করেন ঝিলিক; জহীর উদ্দীন দীনহীন এর গান ‘আজ পাশা খেলবো রে শ্যাম’ পরিবেশন করেন সজীব এবং সংগীত পরিবেশন করেন প্রতীক দাস (শিশু)।

সমবেত নৃত্য ‘কনক চাপা ধান’ পরিবেশন করে নৃত্যছন্দ নৃত্যদল, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন বেনজির সালাম। এরপর আবৃত্তি করেন আশরাফুল আলম। এরপর শুরু হয় একক সংগীত পরিবেশনা। একক সংগীত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘রসের হতা খই খই’ পরিবেশন করেন আলমিনা আক্তার নীতু; দ্বীজ দাসের গান ‘তুমি শুন বা না শুন’ পরিবেশন করেন হীরক সরদার; ডলি মন্ডল পরিবেশন করেন লালন শাহের গান ‘ধৈন্য আশেকী জনায়’ এবং বিমান চন্দ্র বিশ্বাস পরিবেশন করেন পরান ফকিরের গান ‘তুমি কোনবা দেশে ’

সবশেষ পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’। নাঈম খান ডান্স কোম্পানী, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য পরিচালক আবু নাঈম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফেরদৌস আরা বন্যা ও আব্দুল্লাহ বিপ্লব।

জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।