Home জাতীয় বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনে অংশীজনদের মতামত চায় টিআইবি

বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনে অংশীজনদের মতামত চায় টিআইবি

29

ডেস্ক রিপোর্ট: বিদেশি বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনের যে উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যমকর্মী এবং অংশীজনদের মতামত নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ।একইভাবে আন্তর্জাতিক চর্চার আলোকে নীতিমালাটি সংশোধনের মত দিয়েছে সংস্থাটি। রোববার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারজ্জামান এ আহবান জানান। খবর আমাদের সময়.কম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য একটি নীতিমালা করে ইসি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সেই নীতিমারায় কিছু সংশোধনী আনতে চাইছে কমিশন। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসির বৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকের পরই নীতিমালা সংশোধনের চূড়ান্ত উদ্যোগ নেয় কমিশন।
ড. ইফতেখারজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিসা জাটলতার কারনে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতি ও বিতর্কিত ভূমিকা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কলুষিত করেছিল। বিদ্যমান নীতিমালাটি অবশ্যই সংশোধন করতে হবে।কারন, একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষদের অবাধ উপস্থিতি ও স্বধীনভাবে বিচরণের সুযোগ অপরিহার্য।
আরও জানায়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নীতিমালাটি ‘যুগোপযোগী’ করার ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অবাধ উপস্থিতিতে লেভেল-পেইং ফিল্ড বা সমান প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে টিআইবি নির্বহী পরিচালক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ করার দায় এককভাবে যেমন নির্বচন কমিশনের নয় , তেমনই একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বচন আয়োজন করাও যে কমিশনের সংবিধানিক দ্বায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা, তা-ও ভুরে গেলে চলবে না।তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দল-নিরেপক্ষ বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও অন্য জনের মতামত নেওয়া জরুরি ।এক্ষেত্রে বিগত দিনে বাংলাদেশের ইতবাচক ও নেতিবাচক অভিজ্ঞতাসহ আন্তর্জাতিক চর্চার আলোকে নিতীমালাটি ঢেলে সাজাতে হবে।
২০১৮ সালে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সচিব ‘পর্যক্ষেকদের ভোটকেন্দ্রে মূর্তির মত থাকতে হবে’ বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের ক্ষেত্রে সেই একই মানসিকতার প্রতিফলন যেন না ঘটে, সেদিকটি বর্তমান কমিশন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার াাহবান জানিয়েছেন টিআইবি।