Home রাজনীতি বিদায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিরাজুল আলম খান

বিদায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিরাজুল আলম খান

32

ডেস্ক রিপোর্ট: ইহজগৎ এর মায়া ত্যাগ করে চির বিদায় নিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রাজনীতির রহস্যখ্যাত পুরুষ সিরাজুল আলম খান। রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত সকলের দাদা ভাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন সিরাজুল আলম খান(দাদা ভাই) আজ ৯জুন শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু বরন করেছেন ।

তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. রাসেল মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছেন।

জাসদের প্রবাদ পুরুষ সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

সিরাজুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল খান ১৯৪১ সালে ৬ জানুয়ারি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনীতিবিদ। তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬২-তে গোপন সংগঠন ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন। নিউক্লিয়াস ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামেও পরিচিত। এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন এবং ‘৭ নভেম্বর ১৯৭৫’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতিতে সিরাজুল আলম ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আগামীকাল ১০ জুন শনিবার সকাল ১০টায় সিরাজুল আলম খানের মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিন চত্ত্বরে নিয়া আসা হবে এবং সেখানেই তার জানাজার নামাজ অনষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তার মা’য়ের কবরেই তাকে সমাহিত করা হবে।

ছোটভাই ফেরদৌস আলম খান জানান, দাদাভাইর ইচ্ছা অনুযায়ী আলীপুর সাহেববাড়িতে মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

সিরাজুল আলম খান বলে গিয়েছিলেন, আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না। শহীদ মিনারে ডিসপ্লে হবে না লাশ। যত দ্রুত সম্ভব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে মরদেহ, যা ঢাকা থাকবে একটা কাঠের কফিনে। মায়ের একটা শাড়ি রেখে দিয়েছি। কফিনটা শাড়িতে মুড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে, মায়ের কবরে।