ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিজয় আমরা এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা সমুন্নত করেই চলতে হবে। আবার যেন ঐ খুনি, যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, তারা ক্ষমতায় এসে এই দেশকে ধ্বংস করতে না পারে। সে দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে ও লক্ষ্য রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, নইলে বিএনপি বিজয়ের মাসে (১০ ডিসেম্বর) বিজয় উৎসব না করে যেদিন থেকে পাকিস্তানী বাহিনী দেশে বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে সেদিন ঘোষণা দেয় যে সরকার উৎখাত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এতই সোজা (আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা), আওয়ামী লীগ পারে। আইয়ুক খানকে উৎখাত করেছি, ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি, জিয়া যেখানেই গেছে আন্দোলন তার বিরুদ্ধে হয়েছে, এরশাদকে উৎখাত করেছি, খালেদা জিয়া ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোট চুরির পর তাকে উৎখাত করা হয়েছে, আবার ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিল সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সোজা নয়।

তিনি বলেন, তবে তারা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে যেমন ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি তার ভোগান্তি এদেশের মানুষের হয়েছে।
তিনি বলেন, তাই মানুষকেও সজাগ থাকতে হবে। আবার তারা ভোগান্তিতে পড়বে, নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে উন্নয়নের পথে অপ্রপতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে গিয়ে গড়ে তুলবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে পরদর্শী হবে, আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য আমাদের ই-গভার্নেন্স, ই-বিজসেন ই-জনগোষ্ঠী সবকিছু আমরা এভাবে করবো। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষা সবকিছুকেই আমরা সেভাবে গড়ে তুলবো এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যচ্ছে এর গতিকে আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের বিজয়ের মাসে বিজয়ের দিনে এটাই প্রতিজ্ঞা হবে যে বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি এখন উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও বক্তৃতা করেন।
আরো বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রবীন জননেতা আমির হোসেন আমু, দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম ও সিমিন হোসেন রীমি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন সভা সঞ্চালনা করেন।