Home সারাদেশ বালু খেকুদের কাছে নুরুল ইসলাম নাহিদের অসহায় আত্মসমর্পণ

বালু খেকুদের কাছে নুরুল ইসলাম নাহিদের অসহায় আত্মসমর্পণ

870

সৈয়দ রাসেল আহমদ,সিলেট অফিস: গোলাপগঞ্জের সুরমা নদীতে চলছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলনের মহা উৎসব। বৈধ-অবৈধ দুই ভাবেই বালু উত্তলন করে যাচ্ছে কয়েকটি চক্র। এসব চক্রের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে একরকম অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করলেন সিলেট ৬ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমার কাছে অনেকেই খবর জানান বালু উত্তলনের বিষয়ে। আমি খবর শুনেই পুলিশকে নির্দেশ দেই অভিযানের জন্য, কিন্তু পুলিশ আসার আগেই তারা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।

নরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এরা নদী থেকে বালু উত্তলনের জন্য বৈধ উপায়ে কিছু জায়গা লিজ নিয়ে বালু উত্তলন করে,তবে আমাকে অনেকেই বলেছেন এরা নদীর কিছু অংশ লিজ নিয়ে লিজের বাহির থেকেও বালু উত্তলন করে আসছে।

আমি এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি একশন নেয়ার জন্য। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা খবর পেয়ে লিজের অংশে চলে যায়। এই যে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার নিজেরও কষ্ট লাগে, আমিও কি করব বলেন তারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়েছে এখানে আমি কিছু করতেও পারি না।

তবে লিজের বাহির থেকে বালু উত্তলন করলে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে খবর পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসার (এসিল্যান্ড) অভিজিৎ চৌধুরীরকে অবহিত করলে তিনি একজন তহসিলদারকে সরেজমিনে পাঠান এবং আমাদেরকে জানান তারা তাদের লিজের অংশ থেকেই বালু উত্তলন করছে। তবে এবিষয়ে স্থানীয় কজন মুহরির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন বর্তমানে যেখানে বালু উত্তলন চলছে সেটি লিজে উল্লেখ করা দাগ নয়।

লিজে দেয়া এসব দাগের মারপেঁচে দিয়ে একদিকে যখন ফায়দা হাসিল করছে বালু খেকুরা তখন অন্যদিকে মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

নদীতে লিজ দেয়া সীমানা সাধারণ মানুষ যাতে সনাক্ত করতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তুলেছেন সাধারণ মানুষ। কারো কারো মতে লিজ দেয়ার সময় লিজের অংশের সীমানা পিলার বসালে যেকেউ সহজেই বুঝতে পারবে লিজের ভিতরে বালু উত্তলন হচ্ছে নাকি বাহির থেকে অবৈধভাবে উত্তলন হচ্ছে।

তবে বালু উত্তলন নিয়ে এ চোর পুলিশ খেলায় দিন শেষে যাদেরই লাভ হোক,লোকশান গুনতে হচ্ছে নদী পাড়ের সাধারণ মানুষকেই।