Home সারাদেশ বানারীপাড়ায় ঝালকাঠির কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ : দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা,একজন গ্রেফতার

বানারীপাড়ায় ঝালকাঠির কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ : দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা,একজন গ্রেফতার

35

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় ঝালকাঠির এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের প্রায় এক মাস পরে ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিমের স্কুল শিক্ষক মা বাদী হয়ে চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীর হাসান ইকন (২২) ও ধর্ষণে সহায়তাকারী বন্দর বাজারের চা দোকানী হৃদয়কে (২৪) আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে। সে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ।
স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য শামসুল হকের ছেলে উপজেলার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীর হাসান ইকনদের একসময় প্রতিবেশীর ভাড়াটিয়া ছিলেন ঝালকাঠি মহিলা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর পরিবার । পাশাপাশি বাসা হওয়ায় ইকন ও ওই ছাত্রীর মধ্যে স্কুল জীবন থেকেই সখ্যতা গড়ে ওঠে। কয়েক মাস পূর্বে ওই ছাত্রীর পরিবার বানারীপাড়ার ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে নিজ এলাকা ঝালকাঠিতে ফিরে যায়।
গত বছরের নভেম্বর মাসে ইকন যশোর এলাকায় অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে। তারপরেও ইকন ও ওই ছাত্রীর মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ইকন গত ২৭ জুলাই বিকালে মুঠোফোনে ওই ছাত্রীকে বানারীপাড়ায় ডেকে আনে। তাকে নিয়ে ইকন বানারীপাড়ার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাত ১১টার দিকে বন্দর বাজারের চা দোকানী বন্ধু হৃদয়ের কাছে নিয়ে যায়। হৃদয়ের সহায়তায় তার দোকানে ইকন কলেজ ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করে তা কৌশলে গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরের দিন সকালে ওই কলেজ ছাত্রী ঝালকাঠিতে নিজ বাসায় ফিরে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় ইকন তাকে ভিডিও ধারণ করে রাখার বিষয়ে মুঠোফোনে নানা ভয়ভীতি দেখায়। সম্প্রতি ইকন ওই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে তাকে আবারও বানারীপাড়ায় তার কাছে আসার জন্য হুমকি দেয়। এতে সে নিরুপায় হয়ে তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। ফলে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিন উদ্দিন বলেন,এ ঘটনায় থানায় মামলা নিয়ে তাৎক্ষনিক ধর্ষকের সহায়তাকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ইকনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।