Home সারাদেশ বানারীপাড়ার পৈতৃকভিটায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত অধ্যাপক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা

বানারীপাড়ার পৈতৃকভিটায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত অধ্যাপক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা

28

রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বানারীপাড়ার পৈতৃকভিটায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার একমাত্র সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তার পৈতৃকভিটায় গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে তিনি শৈশব স্মৃতি রোমন্থন করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিঁিন এ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য। তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন বানারীপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডু, অভিভাবক সদস্য ও বানারীপাড়া সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকার সিদ্দিক,সহকারী প্রধান শিক্ষক মাকসুদা আক্তার ও আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম সাহা অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এর আগে ( ১২ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিঁনি বানারীপাড়া নতুনমুখ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মানিক মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন। পরে তিঁিন বানারীপাড়া পৌরসভা পরির্দশনে গেলে তাঁকে সেখানে পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলসহ নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছায় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
প্রসঙ্গত ড. মেঘনা গুহঠাকুরতার বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে গণ হত্যার সময় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ ও আহত হন এবং চারদিন পর ৩০ মার্চ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।