Home জাতীয় বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিস্তৃত হবে

বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিস্তৃত হবে

52

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রিকসে আগামী আগস্টে সদস্যপদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা জানান, এর মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন হতে পারে। বাংলাদেশের দর-কষাকষির ক্ষমতা ও সুযোগ বাড়বে। আর যেহেতু এটা কোন সামরিক জোট নয় এবং পৃথিবীর বিশাল বড় বড় অর্থনৈতিক ও মূলধন সমৃদ্ধ দেশগুলো রয়েছে, সুতরাং এখানে যুক্ত না হবার কোন কারণই নেই। এছাড়াও ব্যবসায়ের ক্ষেত্র হিসেবে বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তা থেকেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা।খবর আমাদের সময়.কম

বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোতে বিশাল বাজার রয়েছে। সেখানে প্রচুর বিনিয়োগ ও ক্রয় ক্ষমতাও রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন ডলারের কারণে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। সেক্ষেত্রে ব্রিকস একটি বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে সেইসঙ্গে বাংলাদেশের মুদ্রা মানেরও উন্নয়ন হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত নতুন সদস্যের জন্য পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি করা হয়নি। আমাদেরকে কোন শ্রেণিতে রাখা হচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়। আমরা যেহেতু প্রথম থেকেই আছি সেহেতু আমাদের পূর্ণাঙ্গ সদস্য পদ দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তবে পূর্ণাঙ্গ সদস্য পদ না পেলেও বাংলাদেশের লাভ রয়েছে।
ব্রিকসে যোগ দেওয়াকে কূটনীতিক বড় অর্জন বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখানে যারা আছেন তাদের বৈশ্বিক মোট অর্থনীতির ৩০ শতাংশ ও জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ রয়েছে। সুতরাং, বিশাল বাজার রয়েছে তাদের। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের যেসব মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেগুলো শেষ করতে তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, বড় অর্থনীতি সম্বলিত এ দেশগুলোর ভবিষ্যতে মূল্যবান আন্তঃ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে। ব্রিকস বলেছে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের যেসব ভুল রয়েছে সেগুলো তারা করবে না। এর ফলে বাংলাদেশ খুব সহজেই এ ব্যাংক থেকে হয়ত ঋণ নিতে পারে।

অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়নুল ইসলাম জানান, আমাদের পাশ্ববর্তী শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও চীন রয়েছে, সেহেতু তাদের প্রয়োজনীয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের শক্তিকে বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়াও ডলারের বিগত ৫০ বছরের যে রাজত্ব রয়েছে, সেটাকে ভাঙ্গতে হলেও এ ফোরামের দরকার রয়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্রিকস জোটকে বেশ প্রভাবশালী বলে মনে করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের পশ্চিমা দেশগুলোর নানান নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাঁচতে পারবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ কয়েক বছর প্রতিযোগিতায় পড়তে পারে। ফলে দেশের অর্থনীতি একটি ধাক্কা খেতে পারে। তবে ধাক্কা সামলাতে পারলেই পরবর্তিতে একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করতে পারবে।