Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাংলাদেশে শুরু হলো ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন ২০২৩-২০২৪’

বাংলাদেশে শুরু হলো ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন ২০২৩-২০২৪’

54

ডেস্ক রিপোর্ট :স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে আইসিটি প্রতিযোগিতা চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। রোববার থেকে শুরু করে ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত যেকোনো বিষয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। বাংলাদেশ পর্বে ছয় জন বিজয়ী পাবেন ল্যাপটপ এবং রিজিওনাল পর্বে বিজয়ীরা (আঞ্চলিক) যাবেন চীনের গ্লোবাল ক্যাম্পে।

হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতা একটি বৈশ্বিক ইভেন্ট যা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হুয়াওয়ে অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম থেকে কিছু নির্দিষ্ট কোর্স দেওয়া হবে। ‘নেটওয়ার্ক ট্র্যাক’, ‘ক্লাউড ট্র্যাক’ এবং ‘কম্পিউটিং ট্র্যাক’ এ তিনটি ভাগে কোর্সগুলোকে ভাগ করা হবে। প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনের সময় শিক্ষার্থীরা যেকোনো একটি বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন।

প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ধাপ পার হওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের অধ্যয়ন, প্রস্তুতি ও মক টেস্টে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে। ন্যাশনাল, রিজিওনাল অ্যান্ড গ্লোবাল(জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক)-তিনটি পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিতহবে। ন্যাশনাল রাউন্ডের আগে একটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও হবে।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনলাইনে ন্যাশনাল রাউন্ডের পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় সত্য/মিথ্যা (ট্রুঅরফল্স), এককথায় উত্তর এবং একাধিক-উত্তর সম্বলিত প্রশ্ন (মাল্টিপল-আনসারকোয়েশ্চেন্স) থাকবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন, অর্থাৎ মোট ৩০ জন, শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে যথাক্রমে ‘মেট বুক বি৩-৪২০ আই৫’ ও ‘মেটবুক বি৩-৫২০ আই৩’। তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ‘হুয়াওয়ে ওয়াচ জিটি৩’, চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হবে হুয়াওয়েফ্রিবাড্স ৫’ এবং জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে দশম পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ‘হুয়াওয়েব্যান্ড ৮’।

প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা পরবর্তীতে আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবেন। এই পর্যায়ে কোর্সগুলোয় ‘থিওরি অ্যান্ড ল্যাব এক্সামিনেশন’ (তত্ত্ব ও ল্যাব)এর ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন ল্যাবে কাজ করে ন্যাশনালও রিজিওনাল রাউন্ডে যা শিখেছেন সে দক্ষতা প্রমাণ করে দেখাবেন। প্রতিটি দলে তিনজন সদস্য এবং একজন প্রশিক্ষক নিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে একটি দলগত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিতহবে। হুয়াওয়ের সমন্বয়ে এসব টিম গঠন করা হবে। এই রাউন্ডের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে, শিক্ষার্থীরা চীনের ক্যাম্পে সরাসরি যোগ দিতে পারবেন। সেখানে তাঁরা আইসিটি, এআই, ক্লাউড, নেটওয়ার্ক সল্যুশন্স প্রভৃতি উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারবেন।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও (প্রধান নির্বাহী পরিচালক) প্যান জুনফেং বলেন, “এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে ২০৩০ সালে বিশ্বে ৪৭ মিলিয়ন প্রযুক্তি প্রতিভার ঘাটতি থাকবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হুয়াওয়ে সবসময় আমাদের তরুণ প্রজন্মের আইসিটি জ্ঞান বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করে। বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট জাতি গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য আইসিটিতে দক্ষ তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়নে একজন দায়িত্বশীল সহযোগী হিসেবে, হুয়াওয়ে সবসময়ই এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার চেষ্টা করে। ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন ২০২৩-২০২৪’ এসব উদ্যোগের মধ্যে একটি। আমি আশা করি এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।”

রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণের নিয়মাবলী পাওয়া যাবে এ সাইটে- https://tinyurl.com/y8tpfc92 । আরও তথ্যের জন্য অংশগ্রহণ কারীরা হুয়াওয়ে বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ এবং হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমির ওয়েবসাইট (https://e.huawei.com/en/talent/ict-academy/#/home)ভিজিট করতে পারেন।

হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতাটি আইসিটি খাতের বিভিন্ন সহযোগীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ আইসিটি ট্যালেন্ট ইকো সিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে বদ্ধ পরিকর। চলতি বছরের এ ইভেন্টে বিশ্বের ৮০টি দেশের ২৩০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একলাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।