Home স্বাস্থ্য বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে পাশে থাকবে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে পাশে থাকবে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

26

স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার সকালে (২ মার্চ ) এমন কথা জানিয়েছেন জাপানে সফররত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। এর আগে বুধবার জাপানের বিশ্ববিখ্যাত টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাকোতো আইহারা’র আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’র পিএইচডি ফেলো ডা. তাজবীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এসময়ে বিএসএমএমইউ‘র উপাচার্য বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক কিউএস র‌্যাংকিং-এ ২৩ নম্বরে অবস্থান করা টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে রেসিডেন্টদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে বিএসএমএমইউ-এর শিক্ষকদের সাথে জাপানিজ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা জানান।

এসময় প্রফেসর আইহারা বাংলাদেশী চক্ষু চিকিৎসকদের ব্যাপক প্রশংসা করেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বাংলাদেশী চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু আর্টিকেল সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। তিনি ক্লিনিক্যাল রিসার্চের পাশাপাশি মৌলিক গবেষণার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিএসএমএমইউকে চক্ষু গবেষণা, রেসিডেন্সি কারিকুলামের মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ প্রদানের ব্যাপারে সম্মত হন। পরিশেষে মাননীয় উপাচার্য – প্রফেসর আইহারা’কে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতের পর বিএসএমএমইউ উপাচার্য টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগার, সেল কালচার ল্যাব, জেনেটিক ও এনিম্যাল রিসার্চ সেন্টার, মেডিক্যাল ও জেনারেল লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, জিমনেসিয়াম, কো-অপ শপ, বিখ্যাত আকামন ও ইয়াসুদা অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নথিবদ্ধ করেন।

উল্লেখ্য যে, এসময়ে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ‘কালার ব্লাইন্ড টেস্ট’-এর উদ্ভাবক শিনোবু ইশিহারা বোর্ড পরিদর্শন করেন এবং জাপানিজ অপথালমোলজিকাল সোসাইটির বেশ কয়েকজন কার্যকরী সদস্যের সাথে যৌথ বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান। এছাড়াও চক্ষু রেসিডেন্সি কোর্সের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, রেসিডেন্সি কোর্সের ধারাবাহিক মানোন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশী মেধাবী রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের আরও দক্ষ ও আদর্শ গবেষক হিসেবে তৈরি করা সম্ভব। আর এ লক্ষ্যে বিএসএমএমইউ’র বর্তমান প্রশাসন ও শিক্ষকবৃন্দ যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ।